ঝিনাইদহে সোনালী ব্যাংকের মহেশপুর শাখায় নিজ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে গিয়ে ব্যাংকে বসেই প্রতারণার শিকার হয়েছেন আব্দুল মালেক নামে এক ব্যক্তি। আব্দুল মালেকের লেখাপড়া না জানার সুযোগ নিয়ে চেকের ৯৪ হাজার ৮৪ টাকা তুলে নিয়ে পালিয়েছেন এক প্রতারক।
বুধবার সোনালী ব্যাংকের মহেশপুর শাখায় বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা তুলতে এ ঘটনার শিকার হন আব্দল মালেক।
জানা যায়, ছেলে জাহিদুল ইসলাম মালয়েশিয়া থেকে ঋণ পরিশোধ করার জন্য বাবার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৯৪ হাজার ৮৪ টাকা পাঠিয়েছিলেন। সেই টাকা তুলতে যান কোনোরকম স্বাক্ষর করতে পারা বাবা আব্দুল মালেক। পরে এক প্রতারক তার লেখাপড়া না জানার এই সুযোগ নিয়ে তার সব টাকা উঠিয়ে পালিয়ে যায়।এ ঘটনায় আব্দুল মালেক ব্যাংকে থাকা সিসি ক্যামেরা থেকে প্রতারককে চিহ্নিত করে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তিনি।
এ ঘটনায় আব্দুল মালেক বলেন, আমি পড়ালেখা তেমন জানি না। সাতজনের সংসারে পরিবারের কষ্ট লাগব করার জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আট মাস আগে জাহিদুল ইসলামকে মালয়েশিয়া পাঠিয়েছি।
তিনি আরো জানান, এর আগে ৩০ হাজার টাকা বিকাশ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু এবার টাকার পরিমাণ বেশি হাওয়ায় ছেলে আমার ব্যাংক এ্যাকাউন্টে টাকা পাঠান।
বুধবার সকালে সেই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে গিয়ে ব্যাংকে এক কর্মকর্তার কাছে একটি চেক দেন। ব্যাংক কর্মকর্তা চেকে একটি স্বাক্ষর নিয়ে আরেকজনকে দেখিয়ে দেন। এ সময় অপর কর্মকর্তার কাছে যাবার পথে অন্য একজন (প্রতারক) এসে চেকটি হাত থেকে নিয়ে ম্যানেজারের টেবিলে দেন। ব্যাংকের কর্মকর্তা ভেবে আব্দুল মালেক প্রতারকের কাছে চেকটি দেন।
সেই ব্যক্তির সঙ্গে সঙ্গে ঘুরতে থাকেন আব্দুল মালেক। ব্যাংক ম্যানেজার চেকের ওপর স্বাক্ষর করে তার সামনেই প্রতারক ব্যক্তিটির হাতে চেকটি ফেরত দেন। প্রতারক ওই চেকটি ক্যাশে জমা দেন এবং বলেন দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে ব্যাংকের টাকা শেষ হয়ে গেছে। টাকা আনা হলে আপনার টাকা পাবেন। তার কথামতো অপেক্ষা করতে থাকেন আব্দুল মালেক। লোকটি ব্যাংকের মধ্যে ঘোরাঘুরি করতে থাকে। এভাবে আধা ঘণ্টা অপেক্ষার পর লোকটি সামনে থেকে হারিয়ে যান। কিছুক্ষণ পরে খোঁজ নিয়ে আব্দুল মালেক জানতে পারেন, চেকের ৯৪ হাজার ৮৪ টাকা তুলে নিয়ে পালিয়েছেন লোকটি।
এরপর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন আব্দুল মালেক।
এ ব্যাপরে মহেশপুর থানার এএসআই সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়েছে। সিসিটিভির ছবি দেখে প্রতারক শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন