ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় এক শিক্ষিকাকে লাঞ্ছিত ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার শহীদ স্মৃতি সরকারী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বিটুলেরও জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে
গত বুধবার কালিবাড়ি পুকুরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার দিনই স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মুক্তিযোদ্ধা কন্যা ও লাঞ্ছিত সেই শিক্ষিকা।
এদিকে, এ ঘটনার বিচার চেয়ে শহীদ স্মৃতি সরকারী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সম্প্রতি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বরাবর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া দাবি জানিয়েছেন। এর পরপরই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
ওই আবেদন থেকে জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধা আমিন আহমেদ'র মেয়ে পৌর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল শিক্ষিকা আইনুন নেছা তার সন্তানকে স্কুলে দিয়ে ফেরার সময় ছাত্রলীগ নেতা মমিনুল ইসলাম মোটরসাইকেল দিয়ে শিক্ষিকার শরীরে ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা দেয়। ঘটনার প্রতিবাদ জানালে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং আধাঘণ্টা রাস্তার উপরে দাঁড় করিয়ে রাখে। পরে ওই শিক্ষিকা তার ভাই, রকিব উদ্দিন আহমেদকে খবর দিলে তিনিও ঘটনাস্থলে আসেন। পরে তাকেও অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন ওই নেতা।
জানতে চাইলে রকিব উদ্দিন জানান, আমার বোনকে রাস্তায় গালাগালি ও আটকিয়ে রাখার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। ঘটনাস্থলে গেলে মমিনুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা আমাকেও অপমান অপদস্ত করেন। এবং তিনি আরো বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বিটুলের উপস্থিতিতেই মমিন এ ঘটনা ঘটায়।
এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বিটুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে বলেন, ''ভুক্তভোগীর স্বামী আমাকে ফোন দিয়ে ওই জায়গায় পাঠিয়েছে। আমার দ্বারা উনার লাঞ্ছিত হওয়ার প্রশ্নই উঠে না।''
অপরদিকে, কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শুভ চন্দ্র দে বলেন, ছাত্রলীগের একজন নেতা বা কর্মীর দ্বারা এমন ঘটনা ন্যাক্কারজনক। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
মুক্তাগাছা থানার ওসি আলী মাহমুদ বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/২১ এপ্রিল, ২০১৯/মাহবুব