ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সাতক্ষীরায় রাত ১২ টা থেকে দমকা হাওয়া ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। এরই মধ্যে দেবহাটা উপজেলার খানজিয়া নামক স্থানে ইছামতী নদীর বেঁড়িবাধে ভয়াবহ ফাটল দেখা দিয়েছে। এদিকে, শ্যামনগরের গাবুরা ও পদ্মপুকুর বেড়িবাঁধ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এস. এম মোস্তফা
কামাল জানান, জেলায় ১৬০ টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১ লাখ ৩২ হাজার মানুষ অবস্থান
করছেন। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১১৮ টি মেডিকেল টিম। জেলায় এখনও ৭ নং সতর্ক
সংকেত রয়েছে। জেলার তিনটি ঝুঁকিপূর্ণ উপকুলীয় উপজেলা শ্যামনগর, আশাশুনি ও
কালিগঞ্জে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় এলাকার জেলে-বাওয়ালীদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নদীতে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
এছাড়া উপকুলীয় উপজেলা এলাকায় ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রত্যেক ইউনিয়নে মেডিকেল টিম ও স্বেচ্ছাসেবক টিম প্রস্তুত, ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কার, শুকনা খাবার মজুদ রাখা, ওষুধের পর্যাপ্ততা নিশ্চিতকরণসহ দুর্যোগ মোকাবেলায় সম্ভাব্য সকল প্রস্তুতি নিশ্চিত করার কথা জানানো হয়। ইতিমধ্যে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার অফিসসহ বিভিন্ন উপজেলায় একটি করে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। এসব উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে সতর্ক সংকেত হিসাবে লাল পতাকা উত্তোলনসহ মাইকিং করে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার আহবান জানানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, জেলায় দুর্যোগ মোকাবেলায় ২৭শ' প্যাকেট শুকনা খাবার, ৩১৬ মেট্রিক টন চাল, ১১ লক্ষ ৯২ হাজার ৫০০ টাকা, ১১৭ বান টিন, গৃণ নির্মাণে ৩ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা ও ৪০ পিস শাড়ি মজুদ আছে।
এছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়ার পর্যন্ত জেলার সকল সরকারী কর্মকর্তা ও
কর্মচারীদের কর্ম এলাকায় থাকতে বলা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল