সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ফল বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালানায় সময় মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর জব্দ করায় দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
বুধবার বিকাল ৩ টা থেকে প্রায় একঘণ্টা এই বিক্ষোভ করেন তারা। ফলবাজার সংলগ্ন গণপূর্ত বিভাগের অফিসার্স কোয়ার্টার প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী মাজিস্ট্রেট রাহুল চন্দকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। বিকাল ৪ টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে যায় তাকে।
বুবধার বেলা আড়াইটার দিকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ফলবাজারের কয়েকটি দোকান থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ প্রায় ১৫ মন খেজুর জব্দ করেন দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাহুল।
কিন্তু ব্যবসায়ীদের দাবি, জব্দ করা খেজুরের মেয়াদা ২০২০ সাল পর্যন্ত রয়েছে। এ নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে ব্যবসায়ীদের বাকবিতন্ডা হয়। তারা জব্দ করা খেজুর ফেরৎ দেওয়ার দাবি জানান।
কিন্তু কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেট তাদের দাবি মেনে না নেওয়ায় বাজারের সবগুলো ফলের দোকান বন্ধ করে ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ঘিরে রেখে বিক্ষোভ শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। বিক্ষোভের মুখে ফলবাজার সংলগ্ন গর্ণপূর্ত বিভাগের অফিসার্স কোর্য়াটের গড়ি নিয়ে ঢুকেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব। ফল ব্যবসায়ীরা প্রায় এক ঘণ্টা তাকে সেখানে অবরুদ্ধ রেখে বিক্ষোভ করেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে তাকে ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে যায়।
ফল ব্যবসায়ী রাজিব রায় দাবি করেন, গত দুই দিনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কয়েক লাখ টাকার খেজুর জব্দ করা হয়েছে, যে খেজুরগুলোর মেয়াদ ছিল। ছোটখাট ব্যবসা করে আমরা সংসার চালাই। আমাদের উপর এভাবে অত্যাচার হলে আমরা চলব কিভাবে।
সুনামগঞ্জ কালেক্টরেটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাহুল চন্দ বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আমরা মেয়াদোত্তীর্ণ ও পঁচা খেজুর জব্দ করতে শুরু করেছিলাম। জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকির কারণ হতে পারে এমন মালামাল ভোক্তা অধিকার আইন অনুযায়ীই জব্দ করা হয়। কিন্তু অভিযান শুরুর পর ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন যাতে মেয়াদোত্তীর্ণ মাল জব্দ করা না যায়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার