কিশোরগঞ্জে চলন্ত বাসে নার্স শাহিনুর আক্তার তানিয়াকে (২৩) ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার পাঁচজনকে ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বুধবার বিকালে কড়া পুলিশি প্রহরায় আসামিদেরকে আদালতে তোলা হয়। অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আল মামুনের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সারোয়ার জাহান ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে।
আসামিরা হলেন বাসের চালক গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সালুয়াটেকি গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে নূরুজ্জামান (৩৯), বাসের হেলপার একই উপজেলার বীর উজলি গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে লালন মিয়া (৩২), একই উপজেলার লোহাদি গ্রামের নজর আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম রফিক (৩০), কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার ভোগপাড়া গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া (৩৮) ও বাজিতপুর উপজেলার নীলক্ষ্মী গ্রামের মৃত আব্দুস শহীদের ছেলে বকুল মিয়া ওরফে ল্যাংড়া বকুল (৫০)।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে বাজিতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বাসের চালক ও হেলপারসহ চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে ময়না তদন্ত শেষে মঙ্গলবার রাতেই তানিয়ার মরদেহ নিজ বাড়ি কটিয়াদী উপজেলার বাহেরচর গ্রামে মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়। তানিয়ার মরদেহের ময়না তদন্তে ধর্ষণ ও নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন