বগুড়ায় ধান ও চাল মিলিয়ে সংগ্রহ করা হবে প্রায় ৯১ হাজার মেট্রিক টন। সরকারি নিয়ম মেনে এই ধান ক্রয় করা হবে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে এবং চাল কেনা হবে চুক্তিবদ্ধ মিলারের কাছ থেকে। ভালমানের ধান চাল সংগ্রহ করতে জেলার খাদ্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
নিম্নমানের ধান ও চাল গুদামে উঠবে না জানিয়ে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ারিও করে দিলেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এসএম সাইফুল ইসলাম।
বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি মে মাসের শুরু থেকে বগুড়ায় ধান ও চাল ক্রয় করার সময় সীমা শুরু হয়েছে। বোরো ধান মাড়ায় প্রক্রিয়া চালু থাকায় এখনো জেলায় ধান চাল কেনা হয়নি। তবে ধান চাল ক্রয়ের জন্য কর্মকর্তারা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। এই প্রস্তুতির মধ্যেই জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা এসএম সাইফুল ইসলাম জেলার সকল খাদ্য কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এই নির্দেশনায় কোনো নিম্নমানের ধান ও চাল সরকারি গুদামে উঠবে না। এ নিয়ে জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ারিও করা হয়েছে।
বগুড়া জেলা অফিসের কর্মকর্তারা বলছেন, এবার চাল নেয়া হবে ৩৬ টাকা কেজি, ধান ২৬ টোকা কেজি এবং আতপ চাল নেয়া হবে ৩৫ টাকা কেজি। ২ হাজার ১৫০ জন মিলার চুক্তিবদ্ধ হয়ে সিদ্ধ চাল সরবরাহ করবে। জেলায় এবছর ২৩টি স্থানীয় খাদ্য গুদামে (এলএসডি) ও ১টি কেন্দ্রীয় সংরক্ষণগার (সিএসডি) মোট ধারণক্ষমতা রয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার মেট্রিক টন। সেখানে এবছর চাল সংগ্রহ করা হবে ৭৮ হাজার ৩৫৪ মেট্রিক টন। ধান সংগ্রহ করা হবে ৫ হাজার ৫৮৬ মেট্রিক টন। আতপ চাল সংগ্রহ করা হবে ৭ হাজার ৪৬ টন।
বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এসএম সাইফুল ইসলাম জানান, জেলায় ধান চাল কেনা হবে আগস্ট পর্যন্ত। সংগ্রহ অভিযান চলাকালে কোনো নিম্নমানের ধান ও চাল কেনা হবে না। এবিষয়ে বিশেষ বার্তা দেয়া হয়েছে কর্মকর্তাদের। কর্মকর্তারাও বেশ সজাগ হয়েছেন ভালমানের ধান ও চাল ক্রয়ে। মিলারা চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। মিলার মাধ্যমে চাল নেয়া হবে। আর সরাসরি কৃষকরা এবার ধান বিক্রি করতে পারবে। সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন