পটুয়াখালীর গলাচিপার ডাকুয়া ইউনিয়নের আটখালী-চত্রা সড়কের চিংগুরিয়া খালের ওপর নির্মিত আয়রন স্ট্রাকচারের ব্রিজটির বেহাল দশা। ফুটওভার ব্রিজের প্রায় অর্ধেকাংশের স্লিপার ভেঙে গেছে। একপাশের আয়রন রেলিং খসে পড়েছে।
স্লিপার ভেঙে যাওয়ায় এলাকার মানুষ কোনোমতে যাতায়াত করতে মাঝে মাঝে তক্তা দিয়ে নিদেনপক্ষে পায়ে হেটে যাতায়াতের ব্যবস্থা চালু রাখা হয়েছে। কিন্তু ভেঙে যাওয়া সব স্লিপারে তক্তা না দেওয়ায় এটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
নির্মাণের পর থেকে এ ব্রিজ দিয়ে লোকজন ছাড়াও মটর সাইকেলসহ ছোট যানবাহন পারাপার হতো। এতে এলাকার মানুষের অনেক সুবিধা হতো। কিন্তু বর্তমানে ব্রিজটির এমন বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে যে ৪ থেকে ৫ জন লোক একসাথে চলাচল করলে হেলে দুলে ওঠে। মনে হয় এই বুঝি ব্রিজটি ভেঙে খালে পড়ে যাবে।
সরেজমিন গিয়ে এর কারণ হিসাবে দেখা গেছে, রেললাইনের লোহার পাত দিয়ে ব্রিজের যে কয়টি বিম স্থাপন করা হয়েছে তা ইতিমধ্যেই মরিচা ধরে অনেক স্থান খসে পড়েছে। এ বেহাল দশার কারণে দুই এলাকার মানুষই যাতায়াতের ক্ষেত্রে প্রচণ্ড দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
এ ব্যাপারে এলাকার সমাজকর্মী বিশ্বজিৎ দাস জানান, ব্রিজটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত সাধারণ মানুষ ছাড়াও আটখালী মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হয়। খালের দুই পাশে দুইটি বড় আকারের বাজারও রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ২০ বছর আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর এ ব্রিজটি নির্মাণ করে। নির্মাণের দীর্ঘ সময়ের মধ্যে ব্রিজের স্লিপারগুলো একে একে ভেঙে যায়। স্লিপার নির্মাণে নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে কম সিমেন্ট ও নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিষয়টি সম্পর্কে সংশ্ষ্টি দফতরে বারবার অবহিত করা হলেও কোনও প্রতিকার মেলেনি।
উপজেলা প্রকৌশলী আতিকুর রহমান তালুকদার জানান, ব্রিজটি পুনঃনির্মাণে প্রাক্কলন তৈরি করে অনুমোদন ও দরপত্র আহ্বানের জন্য কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম