শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার দুর্গম পদ্মার চর 'চরআত্রা' এলাকায় ডাকাত সন্দেহে তিন ব্যক্তিকে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকালে আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করেছে নড়িয়া থানার পুলিশ। তাদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, নড়িয়া উপজেলার নওপাড়া গ্রামের নুরে আলম (২৮), বিশুগাঁও গ্রামের সেলিম মিয়া (৫০) এবং কানরগাঁও গ্রামের এবায়দুল ইসলাম (৩২)।
নড়িয়া থানার পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে চাঁদপুর থেকে ব্যবসায়ীরা গরু নিয়ে মুন্সিগঞ্জ যাচ্ছিলেন। দিবাগত রাত ১২টার দিকে ভেদরগঞ্জের তারাবনিয়া এলাকায় একদল ডাকাত স্পিডবোটযোগে ট্রলারে আক্রমণ করে। ডাকাতরা ব্যবসায়ীদের ও ট্রলার চালককে মারধর করে গরুসহ ট্রলার ছিনিয়ে নড়িয়ার চরআত্রা এলাকা দিয়ে গরু নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা ডাকাত দলটিকে ঘেরাও করে। এ সময় স্পিডবোট যোগে ১৪ ডাকাত পালিয়ে যায়। জনতা তিনজনকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে শনিবার সকালে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
চরআত্রা এলাকার বাসিন্দা তৌহিদ মুন্সি বলেন, প্রায়ই আমাদের ও আশপাশের এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। গ্রামের মানুষ খুব আতঙ্কিত ও ক্ষুব্ধ ছিল। ডাকাত দলের কাছ থেকে ছয়টি গরু ও একটি ট্রলার উদ্ধার করা হয়েছে। গরু ও ট্রলার পুলিশ আমার জিম্মায় রেখে গেছে।
নড়িয়া থানার উপ-পরিদর্শক মো.সোহেল রানা বলেন, ডাকাত সন্দেহে তিন ব্যক্তিকে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে। তারা মারাত্মক আহত। পুলিশি পাহারায় তাদের সদর হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। তাদের সম্পর্কে আরো খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসা চলছে ওই তিন ব্যক্তির। দুপুর ১২টার দিকে দেখা যায়, অচেতন অবস্থায় তারা হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছেন। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) কামরুল হাসান বলেন, যাদের গরু ও ট্রলার তারা আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দেবে। ডাকাত দলের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল