রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে মাছের ব্যাপক আহরণ হয়েছে। রেকর্ড ছাড়িয়েছে রাজস্ব আয়ও। উৎপানের সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে প্রজনন শক্তি। তাই ২০১৮-১৯ সালের অর্থবছরে রাঙামাটি বিএফডিসিতে রাজস্ব আয় হয়েছে ১৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। যা অন্যান্য বছরগুলোর চেয়ে দ্বিগুণ।
এমন উৎপাদন অব্যাহত রাখতে এবছরও তিন মাসের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে কাপ্তাই হ্রদের সবধরনের মাছ আহরণ। এ সময়টায় হ্রদে অবমুক্ত করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে পর্যাপ্ত পোনামাছও। পোনা অবমুক্তের পর তিনমাস পর্যন্ত কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সংরক্ষণ করা হবে এসব পোনা ও মা মাছ।
রাঙামাটি মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) তথ্য সূত্রে জানা যায়, ১৯৬৫-৬৬ অর্থ বছরে মাত্র ১২০৬.৬৩ মে. টন মৎস্য উৎপাদনের মাধ্যমে রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে বাণিজ্যিকভাবে মৎস্য উৎপাদন শুরু হয়। কালের পরিবর্তন ও ড্রেজিংয়ের অভাবে হ্রদ থেকে বেশকিছু প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে গেলেও কমেনি উৎপাদন।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৪-১৫ সালে ৮৬৪৪ মে. টন মাছ আহরণের বিপরীতে রাজস্ব আয় হয়েছে ৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। পরের বছর অর্থাৎ ২০১৫-১৬ সালে ৯৫৮৯ মে. টন মাছ আহরণের বিপরীতে রাজস্ব আয় হয়েছে ১০ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
এছাড়া ২০১৬-১৭ সালে ৯৯৭৪ মে. টন মাছ আহরণের বিপরীতে রাজস্ব আয় হয়েছে ১২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এ খাতে আয় ছিল ১৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। মৎস্য আহরণ হয় রেকর্ড ১০ হাজার ৫৮৭ মে. টন। বর্তমনে এ আয় বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ৬০ লাখ টাকায়। যা বিগত বছরগুলোর তুলনায় কাপ্তাই হ্রদে সর্বোচ্চ আয়।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি জেলা ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আসাদুজ্জামান বলছেন, বিএফডিসির কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণের পর হ্রদের মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে বন্ধকালীন সময় মৎস্য প্রজনন মৌসুমে অবৈধ মৎস্য আহরণ ও পাচার রোধ, মৎস্য আইন বাস্তবায়ন, কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত ও অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনায় বিএফডিসির বিশেষ ভূমিকা রাখার কারণে এ সফলতা পাওয়া সম্ভব হয়েছে। তাই গত ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন, পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে মৎস্য আহরণ, বাজারজাতকরণ ও পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ রয়েছে। আশা করি ৩ মাস পর এ সুফল ভোগ করবে মৎস্যজীবীরা।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন