কক্সবাজারের টেকনাফে ভাইরাস জ্বর, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভাইরাস জ্বর, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া আক্রান্ত ও পেট ব্যাথা রোগীর সংখ্যা বেশি দেখা দিয়েছে।
হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসাকেরা জানান, ভাইরাসের পাশাপাশি ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। অতিরিক্ত তাপদাহ এবং পরিবর্তনশীল জলবায়ুর প্রভাবে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এ বছর ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন বেশির ভাগ মানুষ। শিশু থেকে শুরু করে নারী-পুরুষ প্রাপ্ত বয়স্ক পর্যন্ত ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন।
ভাইরাসের কারণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পরিচালিত পাবলিক স্কুল গুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে পর্যন্ত প্রভাব পড়েছে। এদিকে হাসপাতালের চিকিৎসক পর্যন্ত ও ভাইরাস থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। সময়মত বিশ্রাম, স্বাস্থ্য-পুষ্টিকর খাবার ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তীব্র এই গরমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই বলে জানান চিকিৎসকরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমন বড়ুয়া জানান, আবহাওয়া পরিবর্তন, প্রচণ্ড গরম এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কারণে ভাইরাস জ্বরের পাশাপাশি ডায়েরিয়া, নিউমোনিয়া ও পেট ব্যাথা করছেন আক্রান্ত রোগী।
তিনি আরো জানান, গড়ে প্রতিদিন ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত ৬ থেকে ৭জন রোগী দেখা যায়। এতে চলতি মে মাসে নিউমোনিয়া ১০৭ জন শিশু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এবং গত তিন দিনে ডায়েরিয়া ও ভাইরাস জ্বর ও পেট ব্যাথায় ২৩জন রোগী শিশু, নারী-পুরুষ আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থকর খাবার পরিবেশন এবং ঠিকমত বিশ্রাম নিলেই ৫-৭ দিনের মধ্যে ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীরা সুস্থ হয়ে উঠবেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন