ধানের দাম কম শ্রমিকের মজুরি বেশী, তাই ক্ষেতে পেকে থাকা ধান যখন কাটছেন না কৃষক- তখন শেরপুরের একদল ছাত্র-শিক্ষক ও যুবকের উদ্যোগে এলাকার দরিদ্র কৃষকের পাকা ধান স্বেচ্ছা শ্রমে কেটে দেওয়া হচ্ছে।
শুক্রবার ১৭ মে এই ঘটনা ঘটেছে শেরপুর সদর উপজেলার চর মুছারিয়া ইউনিয়নের মুন্সিরচর গ্রামে। সেখানের স্থানীয় হোসাইন মারুফ ক্রীড়া চক্রের উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে এ ধানকাটার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
তারা স্থানীয় দরিদ্র কৃষক, যাদের ধান ইতিমধ্যে পেকে গেছে কিন্তু শ্রমিকের চড়া মূল্যের জন্য ধান কাটতে পারছে না তাদের ধান শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কেটে দিয়েছে। এসময় তাদের সাথে যোগ হয় স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-শিক্ষক ও যুবকরা। স্থানীয়দের এমন মহতী কাজে কৃষকরা দারুন খুশি ।
জানা গেছে, স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কেটে দেওয়ার খবর পেয়ে সাবেক এক শিক্ষার্থীর আহ্বানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক ও সভাপতি ড. মামুন প্রতিবেশী জামালপুর জেলা থেকে এই কর্মসূচিতে অংশ গ্রহন করেন। ড. মামুনের অংশ গ্রহণে এলাকার ছাত্রযুবক বেশ অণুপ্রানিত হয়েছে।
ড. মামুন বলেছেন দেশের যে কোন সংকটে ছাত্র যুবকরাই এগিয়ে এসেছে। স্বেচ্ছাশ্রমে ধানকাটা কর্মসূচির মূল উদ্যোক্তা ও স্থানীয় হোসাইন মারুফ ক্রীড়াচক্রের সভাপতি হোসাইন মারুফ জানায়, তারা স্থানীয় প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী ও যুবককে সাথে নিয়ে এলাকার হতদরিদ্র কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছে। এলাকায় যে সকল কৃষকদের অধিক মূল্যের শ্রমিক দিয়ে ধান কাটার সামর্থ্য নেই তাদের ধান কেটে বাড়িতে পৌছে দেওয়া হবে।
শুক্রবার প্রথম দিন তারা ৫০ বিঘা জমির ধান কেটেছেন এবং যতদিন জমিতে পাকা ধান রয়েছে ততদিন পর্যন্ত তারা পর্যায়ক্রমে সকল প্রান্তিক কৃষকের ধান কেটে দিবেন। এদিকে, স্বেচ্ছাশ্রমে ছাত্র-শিক্ষক ও যুবকদের ধানকাটা কর্মসূচিকে দেখতে শতশত মানুষ ভীড় জমায়। স্থানীয় সচেতন মহল এ কাজে উদ্যোক্তাদের সাধুবাদ জানিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক