২৩ মে, ২০১৯ ১৭:৫৭

ঠাকুরগাঁওয়ের ১১টি নদী হুমকির মুখে

আব্দুল লতিফ লিটু, ঠাকুরগাঁও :

ঠাকুরগাঁওয়ের ১১টি নদী হুমকির মুখে

নদী জুড়ে ধান চাষ

ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন নদীতে ধান চাষ, পাড়ে অবৈধ বসতি ও অবাধে কীটনাশক ব্যবহার করায় হুমকির মুখে পড়েছে জেলার ঐতিহ্যবাহী ১১ টি নদী। এতে মাছ শূণ্য হয়ে পড়ছে এসব নদী এবং একইসঙ্গে নদীগুলো মরে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।

নদীগুলো হলো টাঙ্গন, সেনুয়া, তীরনই, শুক, নাগর, লাছি, কুলিক, ভুল্লি, ঢেপা, পাথরাজ ও নহনা। ঠাকুরগাঁও শহর টাঙ্গন নদীর তীঁরে অবস্থিত। শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে অপর একটি নদী যার নাম সেনুয়া। শহরের পৌর এলাকার পশ্চিম অংশ ঠাকুরগাঁও রোড অবস্থিত শুক নদীর তীঁরে। সদর উপজেলার ঢোলারহাট এলাকায় শুক নদীর একটি ধারা রয়েছে। এভাবে জেলার নদীগুলোর মধ্যে ১১টির নদীর সঙ্গে সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রা জড়িয়ে আছে। কিন্তু নদীগুলোতে মানুষের ধান, বসতি স্থাপন ও অবাধে কীটনাশক ব্যবহারের কারণে দেশি মাছের আকাল পড়েছে। একইসঙ্গে নদীগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা জীব-বৈচিত্র্য, জীবিকা নির্বাহ যেমন হুমকির মুখে তেমনি নদীগুলো মরে যাওয়ার উপক্রমও হচ্ছে।

এক সময় এসব নদীতে সারা বছর পানি প্রবাহিত হলেও এখন আর এখানে পানি দেখা যায় না। দীর্ঘদিন প্রবাহিত এ নদীগুলো এখন দিনদিন ভরাট হয়ে যাচ্ছে। নদী নাব্যতা হারিয়ে নালায় পরিণত হয়েছে। কোথাও কোথাও পানির ক্ষীণ ধারা দেখা যায় মাত্র। এই এসব নদীর তীঁর দখল করে গড়ে উঠেছে রাতারাতি কয়েকটি বস্তি। প্রায় সবকটি নদীতে এখন ইরি-বোরো ধান আবাদ হচ্ছে। সে জন্য অবাধে ব্যবহার করা হচ্ছে কীটনাশক।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস শহীদ জানান, ঠাকুরগাঁওয়ের নদীগুলো বেশীর ভাগই শীর্ণকায়। এর মধ্যে ধানের চাষাবাদ, পাড়ে মানুষের অবৈধ বসতি সব মিলিয়ে হুমকির মুখে নদীগুলো। এগুলোর কোনটারই এখন নাব্যতা নেই এবং নৌকাসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করে না। আমরা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মহলকে অবহিত করেছি। অনুমতি পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কামরুজ্জাম সেলিম জানান, ড্রেজিং করার বিষয়ে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে এবং প্রাথমিক কাজ সম্পন্নও করা হয়েছে ।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর