ঈদ শেষ, কাটেনি আমেজ। এখনো নামছে পাহাড়ে পর্যটকের ঢল। হ্রদ-পাহাড়ের মিতালি ও প্রকৃতির টানে দূর-দূরান্ত থেকে আসছে দেশি-বিদেশী হাজার হাজার পর্যটক। প্রতিদিন আসছে দেশি-বিদেশি পর্যটক। সবুজ অরণ্যে রাজ্য রাঙামাটি মেতেছে পর্যটক উৎসবে। পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পর্যটন কেন্দ্রগুলো। অগণিত পর্যটকের কারণে কোথাও তিল পরিমাণ জায়গা টুকু খালি নেই। তাদের সরব উপস্থিতিতে এ শহর এখন যেন উৎসবের নগর তে পরিণত। ঈদের ছুটি শেষ হলেও পর্যটক আসা বন্ধ হয়নি রাঙামাটিতে। শহরের সবকটি আবসিক হোটেল, মোটেল, সরকারি রেস্ট হাউসে লেগে আছে মানুষের ভিড়। কোথাও রুম খালি নেই। রয়েছে অগ্রিম বুকিংও। তাই এখনো ব্যস্ত সময় পাড় করছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার রাঙামাটি বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলো ছিল লোকে লোকারণ্যে ভরপুর। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে আগত পর্যটকরা রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু, শুভলং ঝর্ণা, প্যাদা টিং টিং, পালওয়েল পার্ক, ডিসি বাংলো পার্ক ও কাপ্তাই-আসামবস্তী সড়ক ও বড়আদামসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ কাপ্তাই হ্রদ নৌ-ভ্রমণের আনন্দ উচ্ছ¡াসে মেতেছে। আবার কেউ প্রকৃতিকে উজাড় করে দিচ্ছে নিজেকে। বিকালের গোধুলীর রং যখন লাল বর্ণ ধারণ করে, ঠিক তখনি মানুষের ভিড় জমে পর্যটন ঝুলন্ত সেতুতে।
রাঙামাটি পর্যটন মোটেল ও হলিডে কমপ্লেক্সর ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া জানান, ঈদের পর দিন থেকে রাঙামাটিতে পর্যটক আশা শুরু হয়েছে। এখনো আসছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকরে আগামী জুলাই মাসের প্রথম সাপ্তাহ পর্যন্ত। তাই রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পুরণ হবে বলে মনে হচ্ছে। এবার পর্যটক কমপ্লেক্সের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য মাত্রা প্রায় আড়াই কোটি। এমনভাবে পর্যটক আসা অব্যাহত থাকলে রাজস্ব আয় ছাড়িয়ে যাবে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ঢাকা-চট্টগ্রমসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অবকাশ কাটাতে আসা হাজারো পর্যটকদের বাস, মাক্রোবাস ও প্রাইভেট কারের বহরের ভিড়ে জমেছে পুরো শহর জুড়ে। আর এসব পর্যটকদের সহায়তায় কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন। রয়েছে পর্যাপ্ত ট্যুরিস্ট পুলিশও।
রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবির বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত রাঙামাটিতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে ট্যুরিস্ট পুলিশ সব সময় প্রস্তুত। রাঙামাটিতে প্রায় সব মৌসূমে পর্যটক আসে। তাই পর্যটক কেন্দ্রগুলোতে ট্যুরিস্ট পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে। যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসন পর্যটকদের পাশে সব সময় আছে।
রাঙামাটি পর্যটক কমপ্লেক্সের বানিজিক্য কর্মকর্তা সূর্য্য সেন ত্রিপুরা জানান, রাঙামাটি ডিসি বাংলো এলাকায়, পালওয়ে পার্ক, লাভ পয়েন্ট, সুবলং ঝর্ণা, পর্যটন কমপ্লেক্স, আসামবস্তি সড়ক, প্যাদা টিং টিং, বরগ্যাং ও ফুরামন পাহাড়ের মত অসংখ্য পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে রাঙামাটিতে। এসব স্থানে পর্যটকদের জন্য গড়ে তুলে হয়েছে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট। যাতে পর্যটকরা তাদের প্রছন্দমত খাবার খেতে পারে। এছাড় কাপ্তাই হ্রদে নৌ ভ্রমনের জন্য আছে পর্যাপ্ত ইঞ্জিন চালিত বোটও। পর্যটকদের সুবিধাতে সব ব্যবস্থা রয়েছে এ অঞ্চলে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার