রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী নদীতে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ-বাহিনীর ডুবুরি দল। মৃত যুবকের নাম মো.হামেদ হাসান (৩০)। সে চট্টগ্রামের চকবাজার বাদুর তলার বাসিন্দা কায়কোবাদের ছেলে। শুক্রবার সকালে কাপ্তাই উপজেলার শিলছড়ি এলাকার কর্ণফুলী নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে আত্মীয়র বাসায় বেড়াতে আসে বন্ধু মো. আনোয়ারুল আরেফিন অনু (১৯) সাথে মো. হামেদ হাসান। সারাদিন কাপ্তাইয়ে ঘুরাঘুরি করে বিকালে কাপ্তাই শিলছড়ি এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে গোসল করতে নামে তারা। এসময় নদীর প্রবল স্রোতে তলিয়ে যায় তারা। খবর পেয়ে স্থানীয়রা কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিস ও নৌবাহিনীর ডুবুরী দলকে খবর দিলে বৃহষ্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নদী থেকে অনু মরদেহ উদ্ধার করে। কিন্তু পানির স্রোত বেশি থাকার কারণে তার বন্ধু মো. হামেদকে উদ্ধার করতে পারেনি। রাত বেশি হওয়ার কারণে উদ্ধার কাজও সাময়িক বন্ধ রাখা হয়। পরে শুক্রবার সকালে আবারও কাপ্তাই বিএন শহীদ মোয়াজ্জেম ঘাটির নৌবাহিনীর ডুবুরি দল আবারও উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন। পরে ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে হামেদের মরদেহ কর্ণফুলীর গভীর পানি থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
এ ব্যাপারে কাপ্তাই বিএন শহীদ মোয়াজ্জেম ঘাটির লে. কর্ণেল কবির উদ্দীন জানান, এক রাত পর নিখোঁজ পর্যটকের মরদেহ কর্ণফুলী নদী থেকে উদ্ধার করা হয়ছে। মরদেহটি পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। এ উদ্ধার অভিযানে ৮ জন নৌ-বাহিনীর ডুবুরি দল অংশগ্রহণ করেন।
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা থানা কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ নূর বলেন, কাপ্তাই কর্ণফুলী নদীতে ডুবে মৃত দুই জনের লাশ তাদের স্ব-স্ব পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে। নদীতে নামার ব্যাপারে পর্যটকদের জন্য সর্তকতা অবলম্বন করতে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বৃহষ্পতিবার ১৩জুন চট্টগ্রাম থেকে দুই পর্যটক মো. হামেদ হাসান (৩০) ও তার বন্ধু আনোয়ারুল আরেফিন অনু (১৯) রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় বেড়াতে আসে। পরে তারা কাপ্তাই শিলছড়ি এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে সাঁতার কাটতে নামলে প্রবল স্রোতে নদীর পানি তলিয়ে যায়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার