ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে এলাকায় আধিপত্য বিরাজকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্বসহ ১২ জন আহত হয়েছে। এ সময় ৪/৫টি বসতঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়নের পূর্বহাটি গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন, শরীফ মিয়া (২৪), শহীদ মিয়া (৫৫), শফিকুল ইসলাম (৩৫), শাহজাহান মিয়া (২৩), ফোরকান মিয়া (৩৫), আব্দুল করিম (৪৫), জায়েদা বেগম (৫৫), মায়া বেগম (৬০)।
গুরুতর আহতদের মধ্যে শহীদ মিয়া, শফিকুল ইসলাম, শাহজাহান মিয়া ও ফোরকান মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়নের পূর্বহাটি গ্রামের বেগ বাড়ির সঙ্গে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক প্রধানের সঙ্গে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কয়েক বছর যাবত বিরোধ চলে আসছে।
গত বৃহস্পতিবার সকালে খালেক প্রধানের লোকজন বেগ বাড়ির পক্ষে মহসিন মিয়াকে মারধর করে। এই ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
শুক্রবার বেলার ১১টার দিকে বেগ বাড়ির লোকজন ও খালেক প্রধানের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বাঞ্ছারামপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, পূর্বহাটি গ্রামের দুইপক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমি একদল পুলিশ নিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে, কোনও পক্ষের কেউ কোনও অভিযোগ থানায় জমা দেয়নি।
বিডি প্রতিদিন/কালাম
