কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীর চোরাবালিতে আটকে নিখোঁজের ১৮ ঘণ্টা পর আবদুল মজিদ (১৪) নামে মাদ্রাসাছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার সকাল ৭টার দিকে ঘটনাস্থলে ভেসে উঠে মজিদের মরদেহ। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তা উদ্ধার হয়।
মজিদ ফাঁশিয়াখালী ইউনিয়নের হাজিয়ান ১নং ওয়ার্ড এলাকার দুদু মিয়ার ছেলে ও স্থানীয় দাখিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্র।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার দুপুরে মাতামুহুরী নদীর চরে ফুটবল খেলছিল একঝাঁক কিশোর। মাতামুহুরী নদীর হাজিয়ান মোড় এলাকায় হঠাৎ বলটি নদীর পানিতে পড়ে যায়। ওই সময় ফুটবলটি আনতে গিয়ে পানিতে তলিয়ে নিখোঁজ হয় আবদুল মজিদ। শুক্রবার বেলা ১টার দিকে নিখোঁজের পর দমকল বাহিনী ও চট্টগ্রাম থেকে আসা ডুবুরি দলের সহায়তায় রাত ৩টা পর্যন্ত খোঁজ করেও সন্ধান মেলেনি তার। পরে দমকল বাহিনী ও ডুবুরিদল চলে যায়। শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে মজিদের মরদেহ ভেসে উঠে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মাতামুহুরী নদীর হাজিয়ান মোড় ক্ষেত্রপাল মন্দির পয়েন্টে শফি মেম্বার, রফিক ও আজিজের নেতৃত্বে একদল বালুদস্যু শ্যালো মেশিন বসিয়ে রাত-দিন বালু উত্তোলন করে আসছে। বালু উত্তোলনের ফলে নদীতে সৃষ্ট গুপ্ত চোরাবালিতে আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে শিশুরা। তিনদিন আগেও একই ইউনিয়নের ঘুনিয়া এলাকায় মাতামুহুরী নদীতে গোসল করতে নেমে ৮ বছর বয়সী এক কন্যা শিশুর মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নিলে মৃত্যুর মিছিলে যোগ হতে পারে আরও শিশুর প্রাণ।
বিডি প্রতিদিন/কালাম