বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের চরহোগলা এলাকায় সাবেক ইউপি সদস্য ফখরুল হাওলাদারকে (৪৫) কুপিয়ে-পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফখরুল ওই উপজেলার চরহোগলা ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য এবং একই এলাকার মৃত আবুল হোসেন হাওলাদার চাঁন মিয়ার ছেলে। পদ-পদবী না থাকলেও তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন।
একই এলাকার শরীফ বাঘা ও তার ভাই ওমর বাঘা, তাদের বাবা ইসমাইল বাঘা, পক্ষী দফাদার ও মিজান মৃধা স্থানীয় ১০/১২ জন কুপিয়ে-পিটিয়ে ফখরুলকে হত্যা করে বলে অভিযোগ করেন নিহতের পরিবার। হামলাকারীরাও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
নিহতের ভাতিজা মো. রুবেল ও স্থানীয় ইউপি সদস্য হুমায়ুন হাওলাদার জানান, শনিবার বেলা ১১টার দিকে চরহোগলা হাওলাদার বাড়ির সামনের সড়কে প্রতিবেশী মো. রাকিবের সাথে ফখরুলের বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় রাকিবের পক্ষ নিয়ে স্থানীয় ওমর বাঘা ফখরুলের সাথে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ওমর ডাক-চিৎকার দিলে তার ভাই ও বাবাসহ ১০/১২ জন ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে ফখরুলের উপর হামলা চালায়। তারা তাকে কুপিয়ে-পিটিয়ে মৃত ভেবে সড়কে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
স্বজনরা তাকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত সাথে স্পিডবোটযোগে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে আনার আগেই ফখরুলের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আবুল হাসানাত রাসেল।
নিহতের মামা মো. সাইফুল্লাহ জানান, ফখরুল ইউপি সদস্য থাকাবস্থায় বিভিন্ন সালিশ বৈঠক নিয়ে হামলাকারীদের সাথে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন শত্রুতা রয়েছে। এর জের ধরে পিটিয়ে-কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী করেন সাইফুল্লাহসহ অন্যান্য স্বজনরা।
বিডি-প্রতিদিন/১৫ জুন, ২০১৯/মাহবুব