শেরপুরের নকলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক অন্তঃসত্ত্বাকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন এবং গর্ভপাতের ঘটনা ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগে এবার নকলা থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজকে প্রত্যাহার করেছে পুলিশ সদর দপ্তর।
প্রত্যাহারের এই আদেশ আগামী ১৮ জুন নকলা উপজেলা নির্বাচনের পর কার্যকর হবে বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ঘটনার প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা মো: আমিনুল ইসলাম।
এছাড়া একই ঘটনায় ওই থানার শুক্রবার সেকেন্ড অফিসার এসআই ওমর ফারুককে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ নিয়ে দু'জন পুলিশ কর্মকর্তাকে পুলিশ সদর দপ্তর কর্তৃক প্রত্যাহার করা হল।
জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ১০ মে চোখে মুখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে ডলিকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করে তার ভাসুর ও জা'সহ (ভাসুরের স্ত্রী) ১০/১২জন। এতে ওই গৃহবধূর গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এঘটনার পর পুলিশ নির্যাতিত নারীকে উদ্ধার এবং ঘটনার সাথে জড়িত দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার পর রহস্যজনক কারণে আটককৃতদের ছেড়ে দেয়।
এ ঘটনার একমাস পর ১০ জুন রাতে নির্যাতনের খণ্ডিত ভিডিও চিত্র ফেইসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। পরে নির্যাতিত গৃহবধূর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১২ জুন বুধবার ৯ জনের নামে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে মামলা নিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যে নাছিমা বেগম নামে এক নারী আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এর আগে একজন এসআই ও আজ সর্বশেষ ওসি কাজী শাহনেওয়াজকে প্রত্যাহার করা হল।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল