১৯ জুন, ২০১৯ ২২:০৫

নেত্রকোনার ‘ট্রলার ঘাট’ যেন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনার ‘ট্রলার ঘাট’ যেন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

পর্যটন এলাকা দূর্গাপুরের পাহাড়ের সৌন্দর্য ছাড়াও নেত্রকোনার ‘ট্রলার ঘাট’ যেন মিনি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। সাগরের মতো পর্যটকরা পা ভেজাচ্ছেন হাওর জলে। ঢেউয়ের তালে ছলাৎ ছলাৎ শব্দে যেন মনও নেচে ওঠে।

স্বচ্ছ পানি, নীল আকাশ, বিস্তীর্ন জলরাশির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে গত বছর থেকেই দর্শনার্থীরা ভিড় জমাচ্ছেন নেত্রকোনার হাওরপাড়ে। স্থানটি ইতোমধ্যে মিনি সমুদ্র সৈকত নামে পরিচিতি লাভ করেছে। আর সেই স্বাদ উপভোগ করতেই জেলাবাসীসহ বাহির থেকে আসা ভ্রমণ পিপাসুরা ছুটছেন জেলার মদন উপজেলার উচিৎপুর ট্রলার ঘাটে। হাওরাঞ্চলের প্রবেশ পথই হচ্ছে উচিৎপুর ঘাট। 

যেখান থেকে হাওর এলাকার খালিয়াজুরি উপজেলাসহ হাওরের বিভিন্ন গ্রামের যাতায়াত শুরু হয়। আর সেই জায়গাটির পুরো এক কিলোমিটার জুড়ে সুন্দর দৃশ্য। আর বর্ষা মৌসুমে হাওর এলাকাটি পরিণত হয় মিনি সমুদ্র সৈকতে। তাই পুরো বর্ষা জুড়ে হাজারো দর্শনার্থীরা পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসছেন উচিৎপুর হাওর ঘাটে।

এতে স্থানীয়ভাবে সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থানের। হাওরের স্বচ্ছ পানিতে গোসল করে ট্রলারে ঘুরে আনন্দিত দর্শনার্থীরা। এদিকে হাওরের পর্যটন সম্ভাবনাকে ঘিরে বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে দৃষ্টি নন্দন একটি রেস্তোরা। তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো হলে এটি হতে পরে বিপুল সম্ভাবনার আরেকটি পর্যটন স্পট। 

এদিকে হাওর পর্যটনে ব্যাপক সম্ভাবনার কথা মাথা নিয়ে ইতোমধ্যে ‘হাওর বিলাশ’ নামে একটি অবকাঠামো গড়ে তোলার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। 

যেভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে মদন উপজেলা। ঢাকার মহাখালী বা গুলিস্তান থেকে দিনে ও রাতে বাস চলে। ঢাকা থেকে শাহজালাল গেইটলকে বাড়া ২৫০ টাকা। এরপর নেত্রকোনা পারলা আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে কুড়পাড় মদন বাস টার্মিনাল পর্যন্ত অটো বা রিকশায় যাওয়া যাবে। সেখান থেকে সিএনজি অথবা বাসে মদন উপজেলায় বাস ভাড়া ৬০ টাকা। ওখান থেকে রিকশা অটোতে ৩০ টাকা ভাড়া মদন উচিৎপুর ঘাট। 

আবার নেত্রকোনা থেকে সরাসরি মোটর সাইকেলযোগে মদন উচিৎপুর ঘাট পর্যন্ত ২৫০ টাকা ভাড়া। কেউ কেউ আবার সিএনজি যোগেও যেতে পারেন। তবে সিএনজিতে খরচ কিছুটা বেশি। আবার সরাসরি ঢাকা থেকে মদন ৩৫০ টাকা বাস ভাড়ায় আসতে পারেন। সিলেট, চট্রগ্রাম থেকে সারসরি মদন উপজেলায় বাস চলে।

এরপর ঘাট থেকে বেড়াতে রিজার্ভ ট্রালারও নেওয়া যাবে।  তাতে কয়েক হাজার টাকা লাগবে। আবার জন প্রতি বালই ব্রিজে গেলে ট্রলারে ২০ টাকা লাগে। এমনি করে ছোট ডিঙ্গি নৌকাতেও ঘুরতে পারেন পর্যটকরা।
 
কোথায় থাকবেন : সরকারিভাবে উপজেলার ডাকবাংলো থাকলেও তা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয়। তবে উপজেলা সদরে থাকার জন্য একটি আবাসিক হোটেল রয়েছে। মদন প্রেসক্লাবেও রয়েছে ভাড়া দিয়ে দু একজন থাকার মতো সু ব্যাবস্থা। এছাড়া খাবার হোটেল রয়েছে পর্যাপ্ত। থাকার তেমন কোন ব্যবস্থা না থাকলেও বেশির ভাগই দিনে দিনে ঘুরে চলে যেতে পারেন। 


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর