পোলট্রি খামারের দুর্গন্ধ ছড়ানোকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে একই পরিবারের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পিতা-পুত্র ও ভাতিজাসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আরো দু’জন আহত হন। বুধবার সকালে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার কাঠাল ডাংরী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আব্দুর রাশিদের জামাতা রুবেল মিয়াকে আটক করেছে।
নিহতরা হলেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার কাঠাল ডাংরী গ্রামের কৃষক হাসিম উদ্দিন (৬০), তার ছেলে জহিরুল ইসলাম (২৫) ও আব্দুর রাশিদের ছেলে আজিবুল (৩৫)। আর গুরুতর আহত হাসিম উদ্দিনের দুই ছেলে মাজাহারুল ইসলাম (২০) ও খায়রুল ইসলামকে (২৩) প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের দুজনকেই আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার কাঠাল ডাংরী গ্রামের হাসিম উদ্দিনের ছেলেরা বছর খানেক আগে বাড়ির পাশে একটি পোলট্রি ফার্ম দেয়। পোলট্রি ফার্মের দুর্গন্ধে রাতে ঘুমের অসুবিধা হয় এমন অভিযোগ করে আসছিলেন হাসিম উদ্দিনের বড় ভাই আব্দুর রাশিদের ছেলেরা। বিষয়টি নিয়ে আড়াই মাস আগে রাশিদের ছেলেরা থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলাটির আপোষ মীমাংসার জন্যে এলাকার লোকজন বুধবার সকালে এক সালিশ বৈঠকের আয়োজন করে। কিন্তু সালিশে বসার আগেই হাসিম উদ্দিনের ছেলে জহিরুল ইসলাম ও আব্দুর রাশিদের ছেলে আজিবুল বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে আজিবুল ও তার সহযোগী ৭/৮ জন দেশীয় অস্ত্র রামদা-কোবা ও লাঠিসোটা নিয়ে হাসিম উদ্দিন ও তার তিন ছেলের ওপর হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই হাসিম উদ্দিনের ছেলে জহিরুল ইসলাম (২৫) নিহত হন। পরে উভয়পক্ষই সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়লে হাসিম উদ্দিন (৬৫), তার ছেলে মাজহারুল ইসলাম (৩০) খাইরুল ইসলাম (১৭) ও আব্দুর রাশিদের ছেলে আজিবুল (৩০) মারাত্মক আহত হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে হাসিম উদ্দিন ও আজিবুল মারা যান।
পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন জানান, তুচ্ছ ঘটনা থেকেই তিনজন নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আব্দুর রাশিদের জামাতা রুবেলকে আটক করা হয়েছে। জড়িত বাকীদেরও শনাক্ত করে অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব