রংপুর মহানগরীর নজিরেরহাটে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী ২৫ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে একটি বেসরকারি সংস্থার আশ্রয়ে নেয়া হয়েছে। এ ঘটনা জানাজানির পরই অভিযুক্ত ধর্ষক রহস্যজনকভাবে বিষক্রিয়ায় মারা গেছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরপিএমপি) এর হাজিরহাট থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম জানান, ধর্ষিতা রংপুর মহানগরীর নজিরহাটের স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। মায়ের সাথে এক নার্সারিতে কাজ করতো। নার্সারিতে আসা-যাওয়ার মধ্যে স্বপ্না অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এরপর তাকে স্থানীয় একটি মিশনে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা গত রবিবার হাজিরহাট থানায় অজ্ঞাতনামাদের অভিযুক্ত করে একটি ধর্ষণ মামলা করেন।
হাজিরহাট থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান জানান, যার বিরুদ্ধে ধর্ষণের প্রাথমিক অভিযোগ আনা হয়েছে, তিনি মারা গেছেন। বলা হচ্ছে, তার বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে। তবে তার মৃত্যুটা স্বাভাবিক নাকি বিষক্রিয়ায় হয়েছে সে বিষয়ে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। ধর্ষিতার মা অভিযোগ করেছেন নার্সারিতে কাজ করা তোফাজ্জল হোসেন (৫৫) তার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। ঘটনাটি যখন জানাজানি হওয়ার পর শুনেছি তোফাজ্জল নার্সারিতে দেয়া কিটনাশক খেয়ে গত শুক্রবার অসুস্থ হয়। তাকে হাসাপাতালে নেয়া হলে তিনি মারা যান।তবে ধর্ষিতার মা এখনো নিশ্চিত নয়, যে কে তার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। তিনি বলেন, এর পেছনে তোফাজ্জল নাকি আরও অন্য কেউ জড়িত আছে। সেটা খুঁজে বের করতে হবে পুলিশকে। এখন আমার এই মেয়ের বাচ্চাটার কি হবে। সেটা আমি জানতে চাই। আমাকে এখনই কেউ ঘর ভাড়াও দিচ্ছে না। সমাজে একঘরে করে রেখেছে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক