বগুড়ায় মায়া খাতুন (১৮) নামে এক গৃহবধূ স্বামীর ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া সদরের বারবাকপুর মধ্যপাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত মায়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে মারা যান।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মায়ার স্বামী রাকিবুল হাসানকে (২০) বুধবার সকালে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। অন্যদিকে, ময়নাতদন্তের জন্য নিহত গৃহবধূর লাশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার ওসি (তদন্ত) রেজাউল করিম রেজা জানান, বগুড়া সদর উপজেলার বারবাকপুর মধ্যপাড়া এলাকার আবু জাফরের ছেলে রাকিবুল হাসানের সঙ্গে প্রায় এক বছর আগে শিবগঞ্জ উপজেলার গৌরঘাট এলাকার তোজাম্মেল ওরফে বিশার মেয়ে মায়া খাতুনের বিয়ে হয়। রাকিবুল হাসান পেশায় একজন পরিচ্ছন্ন কর্মী। তিনি বগুড়া পৌরসভায় মাস্টার রোলে কাজ করেন। তবে বিয়ের পর থেকে পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলে আসছিল। মঙ্গলবার মধ্য রাতে তাদের মধ্যে আবারও ঝগড়া শুরু হয়। তারই এক পর্যায়ে রাকিবুল হাসান ধারালো ছুরি দিয়ে তার স্ত্রীর পেটে আঘাত করেন। এতে তিনি চিৎকার দিলে শশুড়িসহ প্রতিবেশীরা মায়া খাতুনকে উদ্ধার করে টিএমএসএম মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত হাসপাতালে ছুটে যায় এবং মায়া খাতুনের জন্য তিন ব্যাগ রক্তের ব্যবস্থা করে। কিন্তু তারপরেও তাকে বাঁচানো যায়নি। বুধবার সকাল ৯টার দিকে ওই হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, মায়া খাতুনকে ছুরিকাঘাতের খবর পাওয়ার পর থেকেই পুলিশ তার স্বামী রাকিবুল হাসানকে খুঁজছিল। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে শহরের মাটিডালি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাকিবুল জানিয়েছেন, দাম্পত্য কলজের জেরেই তিনি তার তার স্ত্রীকে খুন করেছেন। ওই হত্যাকাণ্ডে এখনও মামলা হয়নি।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব
