১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ২১:২৬
বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীর মুখে প্রধান শিক্ষকের চুমু!

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :

তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীর মুখে প্রধান শিক্ষকের চুমু!

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীর মুখে চুমু দেয়ার ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ স্থানীয়রা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ মোহাম্মদ ইছার বিচার দাবি করে কাংকুনিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও এলাকাবাসী এ বিক্ষোভে অংশ গ্রহণ করে। 

স্কুল সংলগ্ন কুয়াকাটাগামী বিকল্প সড়কের চৌরাস্তায় এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এ বিষয়ে অভিভাবকসহ বিক্ষোভকারীরা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবি জানান। 

জানা যায়, উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের কাংকুনিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ ইছা সোমবার সকাল ১১টায় ক্লাস চলাকালীন তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে অফিস রুমে ডেকে নিয়ে আসে। এ সময় ওই শিশুকে স্কুলে না আসার কথা জিজ্ঞেস করে এক পর্যায় শরীরে হাত দিয়ে তার মুখে চুমু দেয় প্রধান শিক্ষক। সেখান থেকে বের হয়ে ওই ছাত্রী তার এক বোনকে বিষয়টি জানায়। ওই বোন শিশুর বাবাকে খবর দেয়। স্কুলে পৌঁছে শিশুর কাছ থেকে সব শুনে বিষয়টি নিয়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. এনামুল হককে বলেন।

স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. এনামুল হক সাংবাদিকদের জানান, প্রধান শিক্ষককে ডেকে তিনি জিজ্ঞেস করলে তার পা জড়িয়ে ধরে ক্ষমা চায়। এমনকি শিশুর বাবার পা জড়িয়ে ধরে ক্ষমা চান প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইছা। শিশুর বাবা সাংবাদিকদের বলেন, 'শিশুরা শিক্ষকদের সন্তানের মতো। আমার মেয়ে দুই দিন স্কুলে যায়নি। এ কারণে রুমে একা ডাইক্কা মুখে চুমা দেয়। আমি এর বিচার চাই।'

এ ঘটনায় কলাপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আবুল বাশার মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত করেছেন। লিখিত অভিযোগ নিয়েছেন। তিনি তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। তিনি তদন্তকালে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ সদস্যদের কথা শুনেছেন। 

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ মোহাম্মদ ইছা এসব অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, 'এটি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবুল বাশার জানান, তিনি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন।' উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) অনুপ দাশ (এসিল্যান্ড) বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এ বিষয়ে আমি কোন লিখিত অভিযোগ এখনও পাইনি। তবে বিষয়টি লোকমুখে জেনেছি। উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে যথাযথ তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে কোন ত্রুটি রাখা যাবে না।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর