১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৬:৪৮

পারিবারিক কলহের জের ধরে তিনজনকে হত্যা, ধারণা পুলিশের

এম এ শাহীন, সিদ্ধিরগঞ্জ

পারিবারিক কলহের জের ধরে তিনজনকে হত্যা, ধারণা পুলিশের

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি বাসা থেকে মা ও দুই মেয়ের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আহত অবস্থায় আরেকজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা পুলিশে।
বৃহস্পতিবার সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের ১নং ওয়ার্ডের সিআই খোলা এলাকার বহুতল ভবনের ৬ তলার বাসা থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ বলেন, ‘মূলত পারিবারিক কলহের জের ধরেই তিনটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ সকাল ৮টায় ঘটনাটি ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে এ হত্যাকাণ্ডের ঘাতক হলেন আব্বাস। আব্বাসের সাথে তার স্ত্রীর বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের কারণে জিদ করে আব্বাসের শ্যালিকার বাসায় স্ত্রী চলে আসে। সে একটি গার্মেন্টে চাকরি করে। বৃহস্পতিবার সকালে কারখানায় চলে যায়। শ্যালিকার সঙ্গে আলাপকালে বিরোধের জের ধরেই শ্যালিকা ও তার দুই মেয়েকে হত্যা করেছে। আর আব্বাস তার প্রতিবন্ধী মেয়েকেও জখম করেছে। ইতোমধ্যে আব্বাসকে ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে।’

নিহতরা হলো সুমন মিয়ার স্ত্রী নাজনিন বেগম (২৮), তাঁর মেয়ে নুসরাত (৮) ও খাদিজা (২)। নাজনিনের বোনের মেয়ে সুমাইয়াকে (১৫) ছুরিকাঘাত করা হয়। তাকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সুমাইয়া হাসপাতালে পুলিশকে বলেছেন, ‘আমার বাবা আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। আমার বাবাই খালামনি ও তার দুই মেয়েকে হত্যা করেছে। বাবা মাদকাসক্ত ছিলেন। গতকালও আমাকে মারধর করেছে। সে কারণেই গতকাল আমি ও আমার মা খালামনির বাসায় চলে আসি।’

নিহতের স্বামী সুমন জানান, তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকার পেট্রোল পাম্পে রাতে ডিউটি শেষে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বাসায় ফিরেন। ওইসময় বাসার দরজা খোলা ছিল। ভিতরে প্রবেশ করতেই স্ত্রী সন্তানদের লাশ দেখতে পায়। আর আহত অবস্থায় আত্মীয় সুমাইয়া পড়ে আছে। পরে অন্য ভাড়াটিয়া ও আত্মীয় স্বজনকে সহ পুলিশকে খবর দেয়। পড়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার শুরু করে। তবে কে বা করা করেছে এ বিষয়ে এখনও নিশ্চিত কিছুই বলতে পারছে না।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর