ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গ্রাহকের মিটারের কাগজ জালিয়াতি করার সময় মেহের আলী নামক এক প্রতারককে আটক করেছে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
আজ বুধবার সকালে তাকে আটক করা হয়। আটক মেহের আলী উপজেলার ধরমন্ডল ইউনিয়নের দেওরত গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে।
অফিস সূত্রে জানা যায়, ধরমন্ডল ইউনিয়নের দেওরত গ্রামের মাহফুজ মিয়া গত বছরের ৪ জুন নতুন মিটারের জন্য আবেদন করে। আবেদনের কিছুদিন পর তার নামে মিটার বরাদ্দ দেয়া হয়। বর্তমানে সে নিয়মতি বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে আসছে। এদিকে, মাহফুজ মিয়ার নামটি ফ্লুইড দিয়ে মুছে এ বছরের ২৪ জুন একই আবেদনের কাগজ দিয়ে মফিজুল ইসলামের নামে আরেকটি আবেদন করা হয় নতুন মিটারের। বুধবার সকালে অফিসে এসে মেহের আলী অফিসের একজন কর্মচারীকে ধমক দিয়ে বলতে থাকেন কেন এতদিন ধরে নতুন মিটারের সংযোগটি দেয়া হচ্ছেনা। তখন ওই কর্মচারী সহকারী ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।
পরে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সহকারী ম্যানেজার হিমেল কুমার আবেদনের মূল কাগজপত্র যাচাই করে দেখতে পান নতুন আবেদনটি ভুয়া। তখন মেহের আলীকে আটক করে জিজ্ঞাসা করলে তিনি অপরাধের কথা স্বীকার করে বলেন প্রতিটি নতুন মিটারের আবেদন বাবদ গ্রহকের কাছ থেকে সে তিন হাজার টাকা আদায় করে থাকেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আজগর আলী মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ আইনের ১৯১০ এর ২৮/১ অনুযায়ী সে দোষী হয় এবং ৪১ ধারা ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।
নাসিরনগর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সহকারী ম্যানেজার হিমেল কুমার সাহা বলেন, আটক মেহের আলী একজন প্রতারক। সে আমাদের অফিসে এসে প্রায় সময় বিভিন্ন আবেদন নিয়ে আসে। একই মিটারের জন্য দু'জন ব্যক্তির আবেদন হওয়ায় আমাদের সন্দেহ হয়। পরে প্রতারণার বিষয়টি সে অকপটে স্বীকার করলে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ তাফসীর আব্দুল্লাহ