জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর সদর উপজেলার চরমটুয়া ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাবলুর যোগসাজসে ও তার পরিষদের চকিদারদের উপস্থিতিতে রামানন্দি গ্রামে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ভূমি দখল করেছে প্রভাবশালী একটি মহল। তারা হামলা চালিয়ে ও কুপিয়ে অন্তত ৭টি বসতঘর তছনছ করেছে। এসময় নারীসহ অন্তত দশ জন আহত হয়েছ।
আহতদের মধ্যে মফিজ উল্যাহ (৭০), হোসেন আলী (৬০), নয়ন তারা(৪৫) ও মিতা আক্তারসহ (৩০) ৪ জনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বৃহষ্পতিবার দুপুরে সরোজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী জানান, বুধবার সকালে স্থানীয় চরমটুয়া ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাবলুর যোগসাজসে ও তার পরিষদের চকিদারদের উপস্থিতিতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীরা জানান, মফিজ উল্যাহ ও তার পরিবারের সদস্যদের শত বছরের পৈতৃক ২৭ ডিসিমেল সম্পত্তি জবর দখল করে একই এলাকার প্রতিপক্ষ নূরনবী পাটোয়ারির নেতৃত্বে নূরুল আমিন, সালাউদ্দিন, নান্নু, নয়ন, রিপন, জাহিদসহ অস্ত্রধারী শতাধিক লাঠিয়াল বাহিনী।
এ সময় তারা ৯৯৯-এ পুলিশের সহযোগিতা চেয়েও কোন ধরনের সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেন।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে চরমটুয়া ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাবলু জানান, জমি নিয়ে দু’পক্ষের মারামারি হয়েছে এবং শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য চকিদার পাঠানো হয়েছে। তবে তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িত নয় বলে দাবি করেন। একটি মহল তার বিরুদ্ধে অপ্রচার চালাচ্ছে বলে তিন অভিযোগ করেন।
নোয়াখালী সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নবীর হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার