কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির গতি বেড়েছে যাওয়ায় পানির নিচে দুই ইউনিয়নের ৩৭টি গ্রাম। ফসলহানির সাথে সাথে বসতবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় চরমকষ্টে দিন পার করছে ১০ হাজার পরিবার।
রবিবার রাত থেকে সোমবার পর্যন্ত পানির গতি বৃদ্ধি পেয়ে চিলমারী ইউনিয়নের ১৮টি গ্রাম এবং রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নে ১৭টি গ্রাম বন্যাকবলিত হয়ে সব মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বাকি দু’টি গ্রামও আংশিক বন্যাকবলিত হয়েছে। বন্যাকবলিত পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্যের সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
ভারত থেকে আসা পানি তার উপর গত দু'দিনের বৃষ্টি এ কষ্ট বাড়িয়েছে কয়েকগুণ। ১৫'শ হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে এ এলাকার মানুষ।
এলাকাবাসী জানান, অতিকষ্টে আছি। খাওয়া-দাওয়া খুব কষ্ট। একবার রান্না করে তিনবার খেতে হয়। এক সপ্তাহ পেরোলেও বন্যা কবলিত এলাকায় পৌঁছায়নি ত্রাণ সহায়তা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, যেভাবে পানি বাড়ছে তাতে মঙ্গলবার রাত কিংবা বুধবার সকালে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।
জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে আমরা অনুরোধ করেছি এই অঞ্চলে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের তালিকা করার জন্য। তাদের পাশে দাঁড়ানোর আমাদের উদ্যোগ আছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন