নাটোরের বাগাতিপাড়ায় নিজের শোবার ঘরেই রেহেনা বেগম (৬০) নামের এক বৃদ্ধাকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার জয়ন্তিপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের দাবি, গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে কি কারণে এ হত্যাকাণ্ড তার প্রকৃত কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ। নিহত রেহেনা বেগম উপজেলার জয়ন্তিপুর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক মৃত ইউনুস আলীর মেয়ে এবং কুষ্টিয়ার দৌলতপুর এলাকার সাফাতুল্লাহর স্ত্রী।
নিহতের মেঝো ছেলে রানা শেখ জানান, তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনিই এলাকায় থাকেন। অন্য দুই ভাই বন বিভাগে চাকরি করেন। সে সুবাধে বড়ভাই গোলাম কবির নান্নু কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে এবং ছোটভাই আ. রহমান টনিক খুলনার সাতক্ষীরা সুন্দরবন এলাকায় থাকেন। তার মা রেহেনা বেগম ছোট ভাইয়ের নির্মাণাধীন পাকা বাড়িতে একাই থাকতেন। পাশেই তিনি (রানা শেখ) নিজের বাড়িতে বাস করেন। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতেও তার মা ওই বাড়িতে ছিলেন। রাত আনুমানিক তিনটার দিকে তিনি মায়ের বমি করার শব্দ পান। এর কিছুক্ষণ পর কাঁচ ভাঙ্গার শব্দে তিনি তার স্ত্রীকে সাথে নিয়ে নিজের বাড়ি থেকে মায়ের বাড়ির দিকে যান। সেখানে গিয়ে মুখ বাঁধা দুই জনকে দৌঁড়ে বাড়ির মূল গেট দিয়ে বেরিয়ে যেতে দেখতে পান। এসময় তিনি চোর ভেবে তাদেরকে তাড়া করেও ধরতে না পেরে ফিরে আসেন। এরপর মায়ের ঘরে ঢুকে বিছানার ওপরে গলায় ওড়না পেঁচানো কয়েকটি গিঁট দেওয়া অবস্থায় মায়ের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি অভিযোগ করেন, তার মাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর নিজের ঘরের বিছানার ওপর ফেলে রাখা হয়েছে।
নিহতের ফুপাত ভাই আফজাল হোসেন জানান, রেহেনা বেগমের স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করায় প্রায় ২০-২৫ বছর পূর্বে রেহেনা বেগম সন্তানদের নিয়ে বাবার এলাকায় চলে আসেন। এরপর থেকে তিনি জয়ন্তিপুর এলাকায় থাকতেন। বাগাতিপাড়া থানার নবাগত ওসি আ. মতিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের গলায় ওড়না পেঁচানো লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে চুরি নাকি অন্য কোন কারণে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে নিহতের ঘরের শোকেসের কাঁচ ভাঙা পাওয়া গেছে বলে তিনি জানান।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক