‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায় নেই। আমি চায় আম্মা-আব্বু মিলেমিশে থাকে। কখনও ঝগড়া না করে। ভাইবোনেরে যেন না মারে, তাদেরকে স্নেহ আদর করে। আমাকে মাফ করে দিও, ইতি অপু।’
এমন চিরকুট লিখে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার আখাউড়ায় অপু মিয়া (১৫) নামে এক কিশোর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
বুধবার বিকেলে আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন ছয়ঘড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত অপু মিয়া মোগড়া ইউনিয়নে ছয়ঘড়িয়া গ্রামের আনোয়ার মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, দুপুরে তার বসতঘরে দীর্ঘক্ষণ দরজা-জানালা বন্ধ থাকায় প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। পরে দরজা ধাক্কাধাক্কি করেও কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে আখাউড়া থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে অপুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বুধবার সকালে নিহত অপুর মায়ের সাথে প্রবাসে থাকা তার পিতা আনোয়ার মিয়ার সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে অপুকে তার মা মারধর করে। পরে সকালেই তার মা তাকে ঘরে একা ফেলে বাবার বাড়ি চলে যায়। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই জানা যায়নি।
অপুর মা নিলুফা বেগম জানান, আমি আমার ছেলের জন্য নিজে দুপুরের খাবার রান্না করে ঘরে রেখে আমার বাপের বাড়ি যায়। কিন্তু পরে শুনি আমার ছেলে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করছে।
কেন করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছি না যে, এই কারণে আমার ছেলে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে। আমার কাছে ছেলের এই মৃত্যুটি রহস্যজনক মনে হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন