চাঞ্চল্যকর নুসরাত হত্যা মামলায় প্রধান আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলাসহ ১৬ আসামির সবাইকেই মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। অধ্যক্ষের যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদ করায় ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের প্রায় ছয় মাস অতিবাহিত হলেও এখনো পরিবারের সদস্যদের মনে স্বজন হারানোর ঘা শুকায়নি।
রায় ঘোষণার পর নুসরাতের ছোটভাই রাশেদুল হাসান রায়হান বলেন, বিশ্বাস করুণ- একবুক চাপা কষ্ট, বেদনায় আমার হৃদয়টা দুমড়েমুচড়ে যায়, প্রতিটি মুহূর্তে মনে পড়ে যায় আপুর কথা, ঘুমের মধ্যে জেগে উঠি আপুর শেষ দিনগুলোর নির্মম কষ্টের কথা মনে হলে, এখনও শেষ রাতে চোখে একফোঁটা ঘুম আসে না আপুর কথা ভেবে।
রায়হান আরও বলেন, প্রতিদিন সন্ধ্যায় যখন বাড়ি ফিরে দেখি আপুর রুমটা খালি পড়ে আছে, যে টেবিলে বসে পড়ালেখা করতো সেখানে বই খাতাগুলো ঠিক আগের মতোই আছে, আগের মতো আছে আপুর ব্যবহৃত সব জিনিসপত্র। নেই শুধু আমার কলিজার টুকরা আপুটি।
গতকাল বুধবার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশীদ জনাকীর্ণ আদালতে নুসরাত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করেছে আদালত। জরিমানার এই অর্থ আদায় করে নুসরাতের পিতা-মাতাকে প্রদানের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রায়ে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা