গত ১৬ অক্টোবর যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ার একটি নির্মাণাধীন বাড়ির পানির ট্যাংক থেকে হাবিব নামে এক রং মিস্ত্রির গলা কাটা লাশ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মামুন মোল্যাকে শুক্রবার ঢাকার আশুলিয়া থেকে আটক করেছে যশোরের ডিবি পুলিশ।
হাবিবকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে সে ব্যাপারে পুলিশকে বিস্তারিত জানিয়েছে মামুন। যশোরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করা হয়।
আটক মামুন (১৯) মাগুরার ডাংগাসিংড়া গ্রামের হাবিল মোল্যার ছেলে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, গত ৬/৭ মাস ধরে সে হাবিরের সাথে নির্মাণাধীন ওই বিল্ডিংয়ে রং মিস্ত্রির কাজ করতো এবং ওই বিল্ডিংয়েরই দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে একসাথে থাকতো। কাজের মজুরি বাবদ হাবিবের কাছে মামুনের ৫ হাজার টাকা পাওনা হয়। মামুনের মোবাইল ফোন ভেঙ্গে যাওয়ায় একটি মোবাইল কেনার জন্য হাবিবের কাছে সে তার পাওনা টাকা দাবি করে। কিন্তু হাবিব মাত্র পাঁচশ’ টাকা দিয়ে বলে যে আর টাকা দিতে পারবে না। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাবিব মামুনকে বটি দিয়ে মারতে যায়। এরপরই মামুন ক্ষিপ্ত হয়ে হাবিবকে খুন করার পরিকল্পনা করে।
মামুন জানিয়েছে, গত ১৪ অক্টোবর ওষুধের দোকান থেকে কিছু ঘুমের ওষুধ কিনে রাত ১০টার দিকে আলু ভর্তার সাথে ওই ওষুধ মিশিয়ে দেয় সে। রাতের খাবার খাওয়ার পর হাবিব ঘুমিয়ে পড়লে রাত দেড়টার দিকে একটি ছুরি দিয়ে তার গলা কেটে হত্যা করে। পরে লাশের হাত-পা বেঁধে পানির ট্যাংকের মধ্যে ফেলে পালিয়ে যায় সে। পরে ১৬ অক্টোবর লাশ উদ্ধার হলে এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে মামুনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে ডিবি পুলিশ শুক্রবার ঢাকার আশুলিয়া থানার বাংলাবাজার এলাকার গুমাইন স্কুলের পাশে মামুনের ফুফুর বাড়ি থেকে তাকে আটক করে। পরে এ হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে পুলিশের কাছে ১৬১ ধারায় জবানবন্দি দেয় মামুন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার