বিল নিয়ে দু’পক্ষের বিরোধে সর্বশান্ত জোসনা। আগুনে ছাই হয়েছে দুটি ঘরসহ সমস্ত মালামাল। স্কুল পড়ুয়া দু’মেয়ের বই-স্কুলে যাওয়ার পোষাকসহ সবই ছাই। অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
শুধু জোসনা নয়, এমন অবস্থা আরো ৩২টি পরিবারের। টিনের ঘর, আধা পাকা দালান ঘর সবই শেষ আগুনে। পুড়ে ছাই বাড়ির কাঠগাছ, ফলজ গাছও। পেট্রোলের আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয় এসব ঘরবাড়ি। এ ঘটনায় থানায় মামলাও নেয়নি পুলিশ। দুর্দশার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহের নিগারকে লিখিতভাবে জানালেও নেয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের কামালপুর ও হাজীপুরের সর্বশান্ত এই মানুষেররা এখন খোলা আকাশের নিচে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ। ৩ নভেম্বর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের বিল হুগলী নিয়ে বিরোধে জড়ায় দু’পক্ষ। ওই সময় পেট্রোল ঢেলে বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেন বিলের ইজারাদাররা। এরআগে ২ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপরও হামলা হয়। এসময় ১১০ রাউন্ড রাবার বুলেট, ৫ রাউন্ড টিয়ার সেল ও ১ রাউন্ড পিস্তলের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি আয়ত্বে আনে।
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল ইসলাম বলেন, তারা যে অভিযোগ দিয়েছিলো তাতে অতিরিক্ত লেখা হয়েছে। সেজন্যে মামলা হয়নি। একটু প্রেসারে থাকুক, সব ঠিক হয়ে যাবে। প্রেসারে থাকলে ভবিষৎতের জন্য ভালো হবে। বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহের নিগার জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান বলেন, শিক্ষার্থীদের বই পুড়ে গেছে এবং সামনে তাদের পরীক্ষার কথা শুনে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) পাঠানো হয়। তারা কয়েকজন শিক্ষার্থীদের বই দিয়ে এসেছে। বিল নিয়ে দুটি মামলা চলমান রয়েছে। স্থানীয়রা বসে বিষয়টি সমাধান করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল