নতুন ট্রাফিক আইনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে ঝালকাঠি-বরিশাল, ঝালকাঠি-ঢাকাসহ অভ্যন্তরীন ও দূরপাল্লার ৯টি রুটে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীন সকল রুটে বাস বন্ধ করে দেয়। এতে শিক্ষার্থী, সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীসহ যাত্রীরা চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন।
সোমবার বিকেল থেকেই বাস বন্ধ করার একটা খবর শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু বাস মালিক সমিতির সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার মো. শাহ আলম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন রাতেও জানিয়েছিলেন যে- 'এমন কোনো খবর নেই'। কিন্তু সকাল থেকেই বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় শ্রমিকরা। শ্রমিকরা নতুন এ আইন সংশোধন করার আবেদন জানিয়েছেন।
ঝালকাঠি থেকে বরিশাল, বরিশাল থেকে ঝালকাঠি হয়ে খুলনা, বরিশাল থেকে ঝালকাঠি হয়ে পিরোজপুর, বরিশাল থেকে ঝালকাঠি হয়ে ভান্ডারিয়া, বরিশাল থেকে ঝালকাঠি হয়ে মঠবাড়িয়া, বরিশাল থেকে ঝালকাঠি হয়ে পাথরঘাটা, ঝালকাঠি-আমুয়া, বরিশাল-ঝালকাঠি ও ঝালকাঠি-ঢাকার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর চৌধুরী জানান, সড়ক পরিবহন আইন শ্রমিকদের স্বাভাবিক জীবনের বিপরীতে। তাই আইন সংশোধনের দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি। এর অংশ হিসেবেই সকল রুটে শ্রমিকরা গাড়ি চলাচলা বন্ধ করে দিয়েছে।
ঝালকাঠি বাস ও মিনি বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ জানান, শ্রমিকরা নতুন আইনের প্রতিবাদে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। তারা বেশী শিক্ষিত নয়, আইন সম্পর্কে পুরোপুরি জ্ঞাত নয়। গাড়ি বন্ধের সাথে মালিক সমিতির কোনো যোগসাজস নেই। দেখা যাক তারা কতদিন এ আন্দোলন চালাতে পারে। কারণ তাদের ভরণ-পোষণ তো হয় গাড়ি চলাচল থাকলে।
উল্লেখ্য, ঝালকাঠি- মোল্লারহাট (নলছিটি), ঝালকাঠি-নবগ্রাম এবং ঝালকাঠি-কাউখালী যাত্রী সংকটের কারণে দীর্ঘদিন (কয়েক বছর) বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম