২০ নভেম্বর, ২০১৯ ২০:৪৫

বেনাপোল বন্দরে পরিবহন সঙ্কটে পণ্যজট, ট্রান্সপোর্ট ভাড়া দ্বিগুণ

বকুল মাহবুব, বেনাপোল

বেনাপোল বন্দরে পরিবহন সঙ্কটে পণ্যজট, ট্রান্সপোর্ট ভাড়া দ্বিগুণ

কয়েক দিন আগেও ট্রাক আর কাভার্ডভ্যানের ভীড় ঠেলে বেনাপোল বন্দর এলাকা ত্যাগ করা ছিল অনেকটা দুঃস্বপ্ন। অথচ সেই পোর্ট এলাকা এখন খাঁ খাঁ করছে। বন্দর এলাকায় দাঁড়িয়ে আছে হাতে গোনা কিছু ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান। 

পরিবহন আইন সংশোধনের নামে রাস্তায় গাড়ি বের করছেন না ট্রাক শ্রমিকরা। ফলে পরিবহন সঙ্কটে নাকাল বেনাপোল বন্দর। অচল হয়ে পড়েছে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম। যশোর-বেনাপোল সড়কের সবগুলো তেলপাম্প এবং খালি জায়গা দখল করে ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে শত শত ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান। পর্যাপ্ত পরিবহন সঙ্কটে বেড়ে গেছে ট্রাক ও কার্ভাডভ্যানের ভাড়া। 

পরিবহন সঙ্কটের কারএণ বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন কম হওয়ায় বন্দর অভ্যন্তরে মারাত্মক পণ্যজট দেখা দিয়েছে। এছাড়া স্বাভাবিকের তুলনায় বন্দর থেকে কম পণ্য খালাস হওয়ায় আদায় হচ্ছে না কাঙ্খিত রাজস্ব। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেনাপোল বন্দরে প্রতিদিন গড়ে পণ্য বোঝাই ৩শ ৫০ টি ভারতীয় ট্রাক প্রবেশ করে থাকে। একই সময়ে বেনাপোল বন্দর থেকে আনুমানিক ৪শ টি বাংলাদেশি ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানে পণ্য পরিবহন হয়ে থাকে। গত কয়েক দিনের হিসেব মতে, বন্দর থেকে মালামাল খালাস হয়েছে খুবই কম। 

কারণ উল্লেখ করে বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সেক্রেটারি আজিমউদ্দিন গাজী বলেন, আইন সংশোধনের দাবিতে ট্রাক শ্রমিকরা বন্দরে মাল বোঝাই করতে আসেনি। স্বল্প সংখ্যক গাড়ি আসার কারণে বন্দর থেকে কম মালামাল লোড হয়েছে। ট্রান্সপোর্ট কর্তৃপক্ষের কথা মানতে নারাজ বন্দর কর্তৃপক্ষ। 

তাদের দাবি, ভারত থেকে যে পরিমাণ মালামাল আমদানি হয়েছে তার চেয়ে গত ৭ দিনে অনেক বেশি মালামাল বন্দর থেকে খালাস হয়েছে। 

ট্রান্সপোর্ট মালিকদের সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, পরিবহন সঙ্কটের কারণে গত এক সপ্তাহে ট্রাক ও কার্ভাডভ্যান ভাড়া প্রায় দেড়গুণ বেড়ে গেছে। আগে যেখানে ১৩-১৪ হাজার টাকার ভাড়া নিয়ে ট্রাক ঢাকায় যেত তারা এখন ভাড়া চাচ্ছে ২০-২২ হাজার টাকা।

এদিকে, বেনাপোল ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শাহীন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, পরিবহন ব্যবসাকে ধ্বংস করার চক্রান্তে এক শ্রেণির লোক মজা নিচ্ছে। ৩ বছরের সাজা মাথায় নিয়ে কোনো চালক গাড়ি চালাবে না। এছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান প্রক্রিয়া সহজতর করতে হবে। সহজীকরণ করতে হবে। অকারণে কাগজপত্র পরীক্ষার নামে ট্রাফিক হয়রানি, চাঁদাবাজি বন্ধ না করে জোর করে আইন চাপিয়ে দিলে শ্রমিকরা তা মানবে না। ট্রাক শ্রমিকদের কথা মানতে নারাজ আমদানিকাররা। 

তারা বলেন, গাড়ির কাগজপত্র সঠিক না থাকায় ট্রাক শ্রমিকরা নয়, গাড়ির মালিকরা গাড়ি বের করছেন না। বছরের পর বছর ম্যানেজ করে চলে এখন হালনাগাদ কাগজপত্রের অভাবে গাড়ি রাস্তায় নামাতে ভয় পাচ্ছে।


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর