২১ নভেম্বর, ২০১৯ ০৪:৪৩

বাংলাদেশ প্রতিদিনে সংবাদ: সেই মাহিবুলের পড়ালেখার দায়িত্ব নিলেন এমপি

নাটোর প্রতিনিধি

বাংলাদেশ প্রতিদিনে সংবাদ: সেই মাহিবুলের পড়ালেখার দায়িত্ব নিলেন এমপি

এমপি শহিদুল ইসলাম বকুল (বামে) ও মাহিবুল।

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপণী (পিইসি) পরীক্ষা দেওয়ার আশা নিয়ে কেন্দ্রের গেট ধরে দাঁড়িয়ে থাকা সেই প্রতিবন্ধী মাহিবুলের পড়ালেখার সার্বিক দায়িত্ব নিলেন নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল।

বুধবার সন্ধ্যায় মাহিবুলের বাবার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলে তার পড়ালেখার সার্বিক দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানান এমপি বকুল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত খবর আমি দেখেছি। এরপর মাহিবুলের বাবার সঙ্গে মুঠোফোনে কথাও বলেছি। একজন প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ালেখা করার প্রবল আগ্রহ দেখে আমি অত্যন্ত খুশি। 

মাহিবুলের বাবা-মা তাদের শিশুকে বোঝা মনে না করে পড়ালেখায় উৎসাহিত করায় অভিনন্দন জানিয়েছেন এমপি বকুল। মাহিবুলের পাশে দাঁড়ানোয় এমপি বকুলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে মাহিবুলের পরিবার।

গত রবিবার (১৭ নভেম্বর) প্রথম দিনে পরীক্ষা দেওয়ার আশায় পুরো আড়াই ঘণ্টা পরীক্ষা কেন্দ্রের গেটে দাঁড়িয়ে ছিল মাহিবুল। প্রকাশিত সংবাদটি নজরে এলে সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে আবারও মাহিবুলকে গেটে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন পেড়াবাড়িয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সমাজসেবা অফিসার রেজাউল করিম। তিনি বিষয়টি নিয়ে ইউএনও প্রিয়াঙ্কা দেবী পালের সঙ্গে আলোচনা করেন।

পরে মাহিবুলকে ইউএনও কার্যালয়ে ডেকে পরীক্ষার আদলে এক ছায়া পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। সেই পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে শুধুই শিশু মনের মাহিবুলকে সান্তনা দেওয়ার জন্য। এমন সিদ্ধান্তের পর কোনও নিয়মিত পরীক্ষার কেন্দ্রে নয়, পার্শ্ববর্তী শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ উদ্দিন স্মৃতি বাক, শ্রবণ ও অটিস্টিক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে পরিক্ষায় অংশ নিচ্ছে মাহিবুল।

মাহিবুলের বাবা কামরুল আহসান খান জানান, পরীক্ষা শুরুর দিন থেকেই পরীক্ষা দেওয়ার দেদ ধরেছিল মাহিবুল। তাই উপায় না দেখে তাকে নিয়ে এসেছিলাম পিইসি পরীক্ষার কেন্দ্রে। স্কুল ড্রেস পরিয়ে পেড়াবাড়িয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের গেটে পুরো পরীক্ষার আড়াই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিল মাহিবুল। এটা দেখে ইউএনও তাকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়ায় মাহিবুল খুব খুশি।

উল্লেখ্য, উপজেলার নওশেরা মহল্লার শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী মাহিবুল কৃষি ও কারিগরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। পরীক্ষা দেওয়ার শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা নেই ভেবে বাবা-মা এ বছর পরীক্ষার জন্য ডিআরভুক্ত না করায় পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে না সে।

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর