রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাওয়া ধূমকেতু ট্রেনের সময় ছিল রাত ১১ টা ২০ মিনিট। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয় রাত ৪ টা ১০ মিনিটে। ট্রেনটির এই ৫ ঘন্টা দেরি হওয়ায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়ে যাত্রীরা।
শুধু ধুমকেতু ট্রেন নয়, রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাওয়া পশ্চিমাঞ্চলের সকল ট্রেনই ৪-৫ ঘন্টা করে সিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে। ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া বনলতা, সিল্কসিটি, পদ্মা ও একতা এক্সপ্রেস, খুলনার উদ্দেশ্যে কপোতাক্ষ ও সাগরদাড়ি এক্সপ্রেস, নীলফামারির উদ্দেশ্যে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস, চিলাহাটির তিতুমীর এক্সপ্রেস, গোয়ালঘাট উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া মধুমতি এক্সপ্রেসসহ কোনো ট্রেনই নির্ধারিত সময়ে স্টেশনে পৌঁছাচ্ছে না।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছেন, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনার পর থেকেই ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় শুরু হয়েছে।
তবে ধুমকেতু ট্রেনের যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ট্রেনের শুধু যাত্রা বিলম্ব নয়, ট্রেনটি ঢাকায়ও নির্ধারিত সময়ে পৌঁছায়নি। সাধারণত ছয় ঘণ্টার মধ্যেই রাজশাহী থেকে ঢাকায় ট্রেন পৌঁছায়। কিন্তু আজকের এই ধুমকেতু ট্রেনটি পৌঁছাতে সময় লেগেছে ৮ ঘণ্টা।
এ বিষয়ে ট্রেনটির পরিচালক কাজী শাহনেওয়াজ জানান, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া ট্রেন দুর্ঘটনার পর থেকে ট্রেনের গতি কমিয়ে দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন লাইনে ট্রেনের গতি বিভিন্ন রকম করা হয়েছে। সর্বোচ্চ গতি নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ কিলোমিটার। অথচ আগে প্রায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেনগুলো চলাচল করত। একারণে ট্রেনগুলো নির্ধারিত সময়ে পৌঁছাতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।
সিডিউল বিপর্যয় বিষয়ে জানতে চাইলে পশ্চিমা ল রেলওয়ের জিএম মিহির কান্তি গুহ জানান, উল্লাপাড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছিল তারপর থেকেই সব টেনের কিছুটা শিডিউল বিপর্যয় ঘটে। প্রথমে এই বিপর্যয় এক থেকে দেড় ঘন্টা ছিল। ধীরে ধীরে এই শিডিউল বিপর্যয় এখন কিছুটা মারাত্মক অবস্থায় পৌঁছেছে। সমস্যা সমাধানের কাজ চলছে। আশা করছি এক সপ্তাহের মধ্যে ট্রেনগুলো স্বাভাবিক সিডিউলে চলাচল করতে পারবে।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ
