নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ হাজার ২০০ টাকায় টেবিল কিনে ২৫ হাজার টাকার ভাউচার দেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির প্রধান এবং ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর নেওয়াজ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এছাড়া সোমবার তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
ডা. নুর নেওয়াজ আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খায়রুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে গত ১৩ নভেম্বর জেলা প্রশাসক দিনাজপুরের সূত্রমতে আমাদের সিভিল সার্জন মহোদয় আমাকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। ২০ নভেম্বর দুপুর আড়াইটার দিকে আমিসহ তদন্ত কমিটির সদস্যরা নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করি। এসময় নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খায়রুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে বেশ কিছু অনিয়মের সত্যতা দেখতে পাই, যার মধ্যে হাসপাতালের আসবাবপত্র ক্রয়, সেমিনার কক্ষের জন্য প্রজেক্টর মেশিন, দরিদ্রদের জন্য ওষুধ ক্রয়, ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনার ওষুধ ও কিট ক্রয় সংক্রান্ত অনিয়ম দেখতে পেয়েছি। এছাড়াও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বরাদ্দ অর্থ বিল ভাউচারের মাধ্যমে উত্তোলনসহ অন্যান্য অভিযোগের অনিয়ম পাওয়া গেছে।
দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুস জানান, নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগের পর ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খায়রুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে ১৪ নভেম্বর তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেন জেলা সিভিল সার্জন। তদন্ত কমিটির প্রধান ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর নেওয়াজ আহমেদসহ কমিটির অন্যরা ছিলেন- বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.সিরাজুল ইসলাম ও দিনাজপুর সদর হাসপাতালের ডাক্তার আহম্মেদ শরিফ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল