শিরোনাম
- ‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বোচ্চ দক্ষতা-পেশাদারিত্ব দেখাতে হবে’
- ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বৃদ্ধ ও কিশোরের
- এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
- নরসিংদীতে ভূমিকম্পে বাবা-ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু, অর্ধশতাধিক আহত
- চাটমোহরে রেললাইনে ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
- ভূমিকম্পে হতাহতদের জন্য তারেক রহমানের শোক
- সেনাকুঞ্জে বেগম খালেদা জিয়া
- গাইবান্ধা স্টেডিয়াম পরিদর্শনে বিসিবি পরিচালক আসিফ আকবর
- ৩০ নভেম্বর থেকে ফের কর্মবিরতির ঘোষণা প্রাথমিকের শিক্ষকদের
- ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
- মেট্রোরেলের ট্র্যাক থেকে অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার
- ‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
- ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার গভীর শোক
- ভূমিকম্পে বংশালে নিহত তিনজনের পরিচয় মিলেছে
- মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি
- কাল ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
- ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
- শীতেও বেড়েছে সবজির দাম, যা বলছেন বিক্রেতারা
- টানা বর্ষণে ভিয়েতনামে ভয়াবহ বন্যা, ৪১ জনের প্রাণহানি
- ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
৩ জনের পরিকল্পনায় হত্যা করা হয় খামারি মজিদকে
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন
চারদিন আগে তিনজনের পরিকল্পনায় হত্যা করা হয় খামারি আবদুল মজিদকে। হত্যার আগে প্রথমে আবদুল মজিদ নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করানো হয়েছিল। এরপর গলায় মাফলার পেঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে খুনিরা। চারটি গরু লুট করার জন্যই তারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী নগরীর রাজপাড়ায় থানায় খামারি মজিদ হত্যাকাণ্ড ও তার চার গরু লুট করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ। সেখানে এসব তথ্য জানান উপ-পুলিশ কমিশনার সাজিদ হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান।
সাজিদ হোসেন বলেন, গত ৪ ডিসেম্বর রাতে দাশপুকুর এলাকা থেকে মজিদকে খুন করে তার চারটি গরু লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনা অনুসন্ধানের সময় মুল পরিকল্পনাকারিসহ মোট আটজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন নগরীর রাজপাড়া থানার বহরমপুর এলাকার হামিদুর রহমান বাবু (৩৫), হড়গ্রাম নতুনপাড়ার রবিউল ইসলাম (৩৮), চন্দ্রিমা থানার উজিরপুর এলাকার আবদুস সামাদ (৫০), আবুল কাশেম (৪১) ও মোসা. আশুরা (৪৮)।
গত শনিবার রাতে নিজ নিজ বাড়ি থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
সাজিদ হোসেন বলেন, সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতারকতৃদের জিজ্ঞাসাবাদের পর এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যা মিশনে সরাসরি অংশগ্রহণকারীদের গ্রেফতার করা হয়। এরা হলেন দাশপুকুর এলাকার আয়নাল মীরের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৮), বহরমপুর আলীগঞ্জ এলাকার তাহাসেন আলীর ছেলে মিলন (৩০) ও বহরমপুর এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে জিন্দার (৪৮)। এদের গতকাল রবিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উপ-পুলিশ কমিশনার সাজিদ হোসেন বলেন, আবদুল মজিদকে প্রথমে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করানো হয়। এরপর আসামী মিলন ও জিন্দার মিলে হাত দিয়ে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এতে তারা ব্যর্থ হয়। পরে আসামী আরিফুল ইসলাম মাফলার দিয়ে গলা পেঁচিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে। এরপর তারা দুইটি গাভি ও দুইটি বাছুর একটি ভুটভুটিতে তুলে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, নগরীর উজিরপুর এলাকা থেকে লুট হওয়া চারটি গরু উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ওই এলাকা থেকে ভুটভুটিও জব্দ করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়।
গত চার ডিসেম্বর রাতের দাশপুকুর বাইপাস সড়কের পাশে খামারি আবদুল মজিদ হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। তার খামার থেকে লুট করে নিয়ে যাওয়া হয় চারটি গরু। এ ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে আবদুস সালাম বাদী হয়ে রাজপাড়ায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ
এই বিভাগের আরও খবর