শিরোনাম
- গুপ্তচরবৃত্তির শাস্তি কঠোর করে ইরানের পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস
- বিএনপির বিরুদ্ধে সকল অপপ্রচার হাওয়ায় মিলে গেছে : রিজভী
- গাকৃবিতে গমের ব্লাস্ট রোগ দমনে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ
- নোয়াখালীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশ
- নারায়ণগঞ্জে দেশের প্রথম ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ উদ্বোধন
- রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার
- রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি
- ই-স্পোর্টসকে ‘ক্রীড়া’ হিসেবে ঘোষণা
- বরিশালে পৃথক অভিযানে মাদক ও জালনোটসহ আটক ৪
- সিভাসুতে রাজনৈতিক পদায়ন পাওয়া তিন কর্মকর্তাকে পদাবনতি
- খাগড়াছড়িতে মব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের সমাবেশ
- দেশ ও দলের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে: নবীউল্লাহ নবী
- অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পেট্রোল ঢেলে হত্যার চেষ্টায় স্বামী গ্রেফতার
- ১৩ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা
- নেত্রকোনার ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু
- রাজবাড়ীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
- গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার
- মুখে ভালো কথা বলে সবার ওপর বোমা মারেন পুতিন, বললেন ট্রাম্প
- সিলেটে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
- পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূর আত্মহত্যা
৩ জনের পরিকল্পনায় হত্যা করা হয় খামারি মজিদকে
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন

চারদিন আগে তিনজনের পরিকল্পনায় হত্যা করা হয় খামারি আবদুল মজিদকে। হত্যার আগে প্রথমে আবদুল মজিদ নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করানো হয়েছিল। এরপর গলায় মাফলার পেঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে খুনিরা। চারটি গরু লুট করার জন্যই তারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী নগরীর রাজপাড়ায় থানায় খামারি মজিদ হত্যাকাণ্ড ও তার চার গরু লুট করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ। সেখানে এসব তথ্য জানান উপ-পুলিশ কমিশনার সাজিদ হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান।
সাজিদ হোসেন বলেন, গত ৪ ডিসেম্বর রাতে দাশপুকুর এলাকা থেকে মজিদকে খুন করে তার চারটি গরু লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনা অনুসন্ধানের সময় মুল পরিকল্পনাকারিসহ মোট আটজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন নগরীর রাজপাড়া থানার বহরমপুর এলাকার হামিদুর রহমান বাবু (৩৫), হড়গ্রাম নতুনপাড়ার রবিউল ইসলাম (৩৮), চন্দ্রিমা থানার উজিরপুর এলাকার আবদুস সামাদ (৫০), আবুল কাশেম (৪১) ও মোসা. আশুরা (৪৮)।
গত শনিবার রাতে নিজ নিজ বাড়ি থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
সাজিদ হোসেন বলেন, সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতারকতৃদের জিজ্ঞাসাবাদের পর এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যা মিশনে সরাসরি অংশগ্রহণকারীদের গ্রেফতার করা হয়। এরা হলেন দাশপুকুর এলাকার আয়নাল মীরের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৮), বহরমপুর আলীগঞ্জ এলাকার তাহাসেন আলীর ছেলে মিলন (৩০) ও বহরমপুর এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে জিন্দার (৪৮)। এদের গতকাল রবিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উপ-পুলিশ কমিশনার সাজিদ হোসেন বলেন, আবদুল মজিদকে প্রথমে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করানো হয়। এরপর আসামী মিলন ও জিন্দার মিলে হাত দিয়ে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এতে তারা ব্যর্থ হয়। পরে আসামী আরিফুল ইসলাম মাফলার দিয়ে গলা পেঁচিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে। এরপর তারা দুইটি গাভি ও দুইটি বাছুর একটি ভুটভুটিতে তুলে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, নগরীর উজিরপুর এলাকা থেকে লুট হওয়া চারটি গরু উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ওই এলাকা থেকে ভুটভুটিও জব্দ করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়।
গত চার ডিসেম্বর রাতের দাশপুকুর বাইপাস সড়কের পাশে খামারি আবদুল মজিদ হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। তার খামার থেকে লুট করে নিয়ে যাওয়া হয় চারটি গরু। এ ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে আবদুস সালাম বাদী হয়ে রাজপাড়ায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ
এই বিভাগের আরও খবর