শিরোনাম
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা
- পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
- পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে
- রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
- নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি সারজিসের
- কলাপাড়ায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৫ জন হাসপাতালে
৩ জনের পরিকল্পনায় হত্যা করা হয় খামারি মজিদকে
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন
চারদিন আগে তিনজনের পরিকল্পনায় হত্যা করা হয় খামারি আবদুল মজিদকে। হত্যার আগে প্রথমে আবদুল মজিদ নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করানো হয়েছিল। এরপর গলায় মাফলার পেঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে খুনিরা। চারটি গরু লুট করার জন্যই তারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী নগরীর রাজপাড়ায় থানায় খামারি মজিদ হত্যাকাণ্ড ও তার চার গরু লুট করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ। সেখানে এসব তথ্য জানান উপ-পুলিশ কমিশনার সাজিদ হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান।
সাজিদ হোসেন বলেন, গত ৪ ডিসেম্বর রাতে দাশপুকুর এলাকা থেকে মজিদকে খুন করে তার চারটি গরু লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনা অনুসন্ধানের সময় মুল পরিকল্পনাকারিসহ মোট আটজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন নগরীর রাজপাড়া থানার বহরমপুর এলাকার হামিদুর রহমান বাবু (৩৫), হড়গ্রাম নতুনপাড়ার রবিউল ইসলাম (৩৮), চন্দ্রিমা থানার উজিরপুর এলাকার আবদুস সামাদ (৫০), আবুল কাশেম (৪১) ও মোসা. আশুরা (৪৮)।
গত শনিবার রাতে নিজ নিজ বাড়ি থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
সাজিদ হোসেন বলেন, সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতারকতৃদের জিজ্ঞাসাবাদের পর এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যা মিশনে সরাসরি অংশগ্রহণকারীদের গ্রেফতার করা হয়। এরা হলেন দাশপুকুর এলাকার আয়নাল মীরের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৮), বহরমপুর আলীগঞ্জ এলাকার তাহাসেন আলীর ছেলে মিলন (৩০) ও বহরমপুর এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে জিন্দার (৪৮)। এদের গতকাল রবিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উপ-পুলিশ কমিশনার সাজিদ হোসেন বলেন, আবদুল মজিদকে প্রথমে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করানো হয়। এরপর আসামী মিলন ও জিন্দার মিলে হাত দিয়ে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এতে তারা ব্যর্থ হয়। পরে আসামী আরিফুল ইসলাম মাফলার দিয়ে গলা পেঁচিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে। এরপর তারা দুইটি গাভি ও দুইটি বাছুর একটি ভুটভুটিতে তুলে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, নগরীর উজিরপুর এলাকা থেকে লুট হওয়া চারটি গরু উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ওই এলাকা থেকে ভুটভুটিও জব্দ করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়।
গত চার ডিসেম্বর রাতের দাশপুকুর বাইপাস সড়কের পাশে খামারি আবদুল মজিদ হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। তার খামার থেকে লুট করে নিয়ে যাওয়া হয় চারটি গরু। এ ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে আবদুস সালাম বাদী হয়ে রাজপাড়ায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ
এই বিভাগের আরও খবর