শিরোনাম
- রাজধানীর বনানীতে গৃহবধূর আত্মহত্যা
- পারিবারিক কলহের জেরে চকবাজারে গৃহবধূর আত্মহত্যা
- ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ
- জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি
- মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার
- ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরে দেশ ও জাতির মুক্তি হয়েছিল : সেলিমুজ্জামান
- ‘স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষে ভোট দিতে হবে’
- আগামীর বাংলাদেশে বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি করতে চাই : মাহদী আমিন
- শ্রীমঙ্গলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
- নওগাঁয় কর্মীসভা অনুষ্ঠিত
- নির্বাচন ঠেকাতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে : আমান
- শহীদ জিয়াই জাতির মহানায়ক: মীর হেলাল
- মনে হচ্ছে নির্বাচন বানচাল করা গণহত্যাকারীদের একমাত্র লক্ষ্য : প্রিন্স
- ঝালকাঠিতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় র্যাব সদস্যসহ নিহত ২
- ফটিকছড়িতে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে অসন্তোষ, আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ
- ‘এই দেশের জনগণ তারেক রহমানকেই আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়’
- মাহবুবউল আলম হানিফের শ্যালকসহ গ্রেফতার ৬ জন
- নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে হতে হবে : মির্জা ফখরুল
- জাতির মুক্তি হয়েছিল এই ৭ নভেম্বর : রিজভী
- অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা নিয়ে পুলিশের সতর্কবার্তা
৩ জনের পরিকল্পনায় হত্যা করা হয় খামারি মজিদকে
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন
চারদিন আগে তিনজনের পরিকল্পনায় হত্যা করা হয় খামারি আবদুল মজিদকে। হত্যার আগে প্রথমে আবদুল মজিদ নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করানো হয়েছিল। এরপর গলায় মাফলার পেঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে খুনিরা। চারটি গরু লুট করার জন্যই তারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী নগরীর রাজপাড়ায় থানায় খামারি মজিদ হত্যাকাণ্ড ও তার চার গরু লুট করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ। সেখানে এসব তথ্য জানান উপ-পুলিশ কমিশনার সাজিদ হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান।
সাজিদ হোসেন বলেন, গত ৪ ডিসেম্বর রাতে দাশপুকুর এলাকা থেকে মজিদকে খুন করে তার চারটি গরু লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনা অনুসন্ধানের সময় মুল পরিকল্পনাকারিসহ মোট আটজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন নগরীর রাজপাড়া থানার বহরমপুর এলাকার হামিদুর রহমান বাবু (৩৫), হড়গ্রাম নতুনপাড়ার রবিউল ইসলাম (৩৮), চন্দ্রিমা থানার উজিরপুর এলাকার আবদুস সামাদ (৫০), আবুল কাশেম (৪১) ও মোসা. আশুরা (৪৮)।
গত শনিবার রাতে নিজ নিজ বাড়ি থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
সাজিদ হোসেন বলেন, সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতারকতৃদের জিজ্ঞাসাবাদের পর এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যা মিশনে সরাসরি অংশগ্রহণকারীদের গ্রেফতার করা হয়। এরা হলেন দাশপুকুর এলাকার আয়নাল মীরের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৮), বহরমপুর আলীগঞ্জ এলাকার তাহাসেন আলীর ছেলে মিলন (৩০) ও বহরমপুর এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে জিন্দার (৪৮)। এদের গতকাল রবিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উপ-পুলিশ কমিশনার সাজিদ হোসেন বলেন, আবদুল মজিদকে প্রথমে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করানো হয়। এরপর আসামী মিলন ও জিন্দার মিলে হাত দিয়ে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এতে তারা ব্যর্থ হয়। পরে আসামী আরিফুল ইসলাম মাফলার দিয়ে গলা পেঁচিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে। এরপর তারা দুইটি গাভি ও দুইটি বাছুর একটি ভুটভুটিতে তুলে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, নগরীর উজিরপুর এলাকা থেকে লুট হওয়া চারটি গরু উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ওই এলাকা থেকে ভুটভুটিও জব্দ করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়।
গত চার ডিসেম্বর রাতের দাশপুকুর বাইপাস সড়কের পাশে খামারি আবদুল মজিদ হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। তার খামার থেকে লুট করে নিয়ে যাওয়া হয় চারটি গরু। এ ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে আবদুস সালাম বাদী হয়ে রাজপাড়ায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ
এই বিভাগের আরও খবর