নাটোরের বাজারে উঠতে শুরু করেছে নতুন পিয়াজ। তাই একদিনের ব্যবধানে অর্ধেকে নেমে এসেছে পিয়াজের দাম। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পিয়াজ বাজারে আসায় কমেছে দাম। তবে এখনও পুরাতন পিয়াজ আগের দামেই বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
আজ বুধবার নাটোরের বাজারে প্রথম আসে দেশি নতুন পিয়াজ। সকালে শহরের স্টেশন বাজারে নতুন পিয়াজ বিক্রি শুরু হয় ১০০ টাকায়। তবে বেলা বাড়ার সাথে কমতে থাকে পিয়াজের দাম। দুপুরে নতুন পিয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ৮০ টাকা।
নাজমা বেগম নামের এক ক্রেতা জানান, মঙ্গলবার তিনি পিয়াজ কিনেছেন ২১০ টাকা কেজি। আজ কম দামে পেয়ে ৮০ টাকায় কিনেছেন আরও ১ কেজি। পিয়াজ ব্যবসায়ী লিয়াকত আলী বলেন, বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় পিয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। সপ্তাখানেকের মধ্যে দাম স্বাভাবিক হয়ে যাবে।আরেক ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াহাব বলেন, অসময়ের বৃষ্টিতে নাটোরের লালপুরসহ স্থানীয় বেশ কয়েকটি এলাকার পিয়াজ নষ্ট হয়েছে। পানি নামার পর সেসব জমিতে নতুন করে পিয়াজ লাগানো হয়েছে। সপ্তাহ দুয়েক পর বাজারে ওই পিয়াজ উঠলে দাম পুরোপুরি মানুষের ক্রয়ক্ষমতায় চলে আসবে। শাহজাহান আলী নামের আরেক ব্যবসায়ী জানান, তারা বেশি দামে কেনা পিয়াজই ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। নতুন পিয়াজ বাজারে আসা সাপেক্ষে দাম কমলে তাদেরও লোকসানে পিয়াজ বিক্রি করতে হবে।
কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাব, বাগাতিপাড়া শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল আফতাব খান বলেন, পিয়াজের অস্বাভাবিক দামে ভোক্তাদের নাভিশ্বাস উঠেছিল। হুটহাট প্রশাসন বাজার মনিটরিং করলেও তা কোন কাজে আসেনি। এখন নতুন পিয়াজের সরবরাহ বাড়লেই ভোক্তাদের স্বস্তি।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক