লালমনিরহাটে জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশা, আর সেই সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে জনজীবন। গত তিন দিনে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। মাঝ রাত থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির। তিস্তা চরাঞ্চলের লোকজন কাজে বের হতে না পেরে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলেও সূর্যের দেখা মিলেনি। ফলে প্রচণ্ড ঠান্ডায় এখন নাকাল তিস্তা পারের মানুষ। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্ভোগে পড়েছেন নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল এবং নিম্ন আয়ের শ্রমজীবীরা। শিশু, বয়স্কও এজমা রোগীরা পড়েছেন শীত দুর্ভোগে। পাশাপাশি গবাদিপশুও রেহাই পাচ্ছে না এ থেকে। গাড়িগুলো দুর্ঘটনা এড়াতে ভোর থেকে হেডলাইড জ্বালিয়ে চলাচল করছে।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় ডায়রিয়ায় ও শীতজনীত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩০ শিশু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. কাসেম আলী। তিস্তাপারের বেশিরভাগ মানুষ শীত নিবারণের জন্য খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
গড্ডিমারী ইউনিয়নের দোয়ানী গ্রামের খাদেম আলী জানান, গত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো তিস্তার চর এলাকায় আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলো শীতে কাঁপছে। তাদের জন্য শীতবস্ত্র খুবই প্রয়োজন।
লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, শীতার্ত মানুষের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ শীতবস্ত্র রয়েছে। পাঁচটি উপজেলার নির্বাহী অফিসাররা শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ শুরু করেছেন।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বর্তমানে লালমনিরহাটের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম