সারাদেশের ন্যায় নেত্রকোনায়ও জেঁকে বসেছে শীত। দুদিনেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে জনজীবন। দিনভর রোদের দেখা না মেলায় বিপাকে পড়ছেন ছিন্নমূল ও নিন্ম আয়ের মানুষেরা। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
প্রকৃতির নিয়মেই এখন পৌষ মাস, শীত অসবেই। তবে এ বছর শীতের শুরুতেই এমন কনকনে বাতাস ও কুয়াশায় তীব্র শীত অনুভুত হচ্ছে জেলার সকল উপজেলায়। নেত্রকোনা পৌর শহরের রেল স্টেশনসহ বিভিন্ন স্থানেই দেখা মিলছে শীতে ভুগছে ছিন্নমূল অনেক মানুষ। দুদিনের ঠান্ডায় এরই মধ্যে সর্দিকাশিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। তবে এরই মধ্যে দরিদ্র শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার রাতভর স্টেশনসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে ভাসমান শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম।
জেলার ৮৬ টি ইউনিয়নের প্রতিটিতেই ইতোমধ্যে ৫০০ করে কম্বল পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণ কম্বল অথবা শীতবস্ত্র যাতে অসহায়দের দেয়া যায় সেজন্যও তিনি বরাদ্দ চেয়েছেন।
অন্যদিকে, নেত্রকোনার সদর উপজেলার চল্লিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার ফকির জানান, সরকারি ৪৬০টি কম্বল ইতোমধ্যেই তিনি ইউনিয়নের শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করেছেন।
এদিকে, হঠাৎ করে নেত্রকোনাতেও এমন ঠান্ডা বাতাস বইছে যে, খেটে খাওয়া মানুষগুলো বিপাকে পড়েছেন। রিকশাচালক সাদ্দাম জানান, আর দুদিন এমন অবস্থা থাকলে হয়তো গাড়ি চালানোই যাবে না। না খেয়ে থাকতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম