দিনাজপুরে বয়ে যাচ্ছেমৃদু শৈত্যপ্রবাহ, শিরশিরে বাতাস। প্রতিটি উপজেলায় জাঁকিয়ে বসেছে হিম শীত। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে সাথে দিনাজপুরে চিতই ও ভাপা পিঠার ব্যবসাও জমে উঠেছে। শীত মানেই পিঠা। বিভিন্ন এলাকার রাস্তার মোড় ও বাজারে এসব পিঠার দোকান। এসব দোকানে চিতই ও ভাপা পিঠা রমরমা বেচাকেনা চলছে।
এই শীতে ঘন কুয়াশার মাঝে নিম্নশ্রেণি ও স্বল্প আয়ের লোকজন চুলার আশেপাশে ঘিরে বসে মনের আনন্দে আগুন পোহানো পাশাপাশি পিঠার স্বাদও গ্রহণ করছেন। এবার ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে দিনাজপুরে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। শীতের তীব্রতাকে সামনে রেখে এই চিতই ও ভাপা পিঠা ব্যবসা।
কুয়াশা ঘেরা ভোর থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং বিকাল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই দোকানগুলোতে পিঠার বেচাকেনা হয়। পিঠার সাথে ফ্রি ধনে পাতার চাটনি, ঝাল-টক আচার বা গুড়। একটি চিতই ৫ টাকা। আবার ডিমের চিতই খেতে গেলে দাম দিতে হয় ১৫ টাকা। ভাপা পিঠার মূল্য ১০ টাকা। ভাপা পিঠার ভেতরে থাকে গুড় ও নারিকেল। যার জন্য এর সাথে কোন মুখরোচক দ্রব্য দেয়া হয় না। এছাড়া রয়েছে পোয়া পিঠা। এর একেকটির মূল্য ৫টাকা। শহরের বিভিন্ন স্থান ছাড়াও রানীবন্দর বাজার, চিরিরবন্দর, বীরগঞ্জ, ফুলবাড়ীসহ বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শত শত এসব চিতই-ভাপা পিঠার দোকানের পসরা বসেছে।
দিনাজপুর শহরের লোকভবন, মুন্সীপাড়া, নিমতলা, পাহাড়পুর, বাহাদুর বাজার, রেল স্টেশন চত্বর, কালিতলা, টার্মিনাল, বালুয়াডাঙ্গা মোড়, হাসপাতাল মোড়, ষষ্টিতলা, অন্ধ হাফেজ মোড়, পুরোনো রেল ব্রিজ, রামনগর, হঠাৎপাড়া, চারুবাবুর মোড়সহ শহরের অগণিত পাড়া মহল্লায় এসব ছোট-বড় পিঠার দোকান হয়েছে। শীতের তীব্রতা যতই বাড়ছে, ততই এসব দোকানের বেচাকেনা বাড়ছে।
রানীবন্দর বাজারের দোকানদার ওবায়দুর রহমান জানায়, সে চিতই ও ভাপা পিঠার ব্যবসা সব মৌসুমেই করেন। তবে শীতকালে তার বেচাকেনা বৃদ্ধি পায় কয়েক গুণ। রানীবন্দর বাজারের পিঠা ক্রেতা শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানায়, শীতের সকালে একটু মিষ্টি পিঠা ভালো লাগে। তবে শীতের বিকেলে জমে ওঠে ঝাল পিঠা। পিঠা হলো চালগুঁড়া, ডালবাটা, গুড়, নারকেল ইত্যাদির মিশ্রণে তৈরি মিষ্টান্ন বিশেষ। চালের গুঁড়া পিঠা তৈরির মূল উপাদান। চালের গুঁড়ার সঙ্গে প্রয়োজন মাফিক বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরিতে বিভিন্ন উপকরণ যোগ করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক