ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে স্কুলছাত্রী জয়নবকে ধর্ষণের পর হত্যা ঘটনার ‘মূল হোতা’ অভিযুক্ত কানাইকে গ্রেফতার করেছেন পুলিশ। সে ঘটনায় জড়িত থাকার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের ভলিবাড়ি এলাকা থেকে কানাইকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন মেয়েটিকে তার বাবা টিউবওয়েল মেরামতের একটি যন্ত্র(রেঞ্জ) পাশের বাড়িতে দিয়ে আসতে পাঠালে আর ফিরে আসেনি। পরে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সন্দেহের তির ছিল কানাইয়ের দিকে। পথিমধ্যে কানাই মিয়ার দোকান ছিলো। তাকে খোঁজ করতে গিয়ে দেখি সে পলাতক। পাশেই ছিল তার বসতঘর। তল্লাশি করে কিছু আলামত পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার রাতে বিটঘর এলাকা থেকে কানাইকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৬ ডিসেম্বর দিবাগত সন্ধ্যায় কুট্টাপাড়া গ্রামের আব্দুল হাফিজ মিয়ার মেয়ে ও স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী জয়নব টিউবওয়েল মেরামতের একটি যন্ত্র (রেঞ্জ) পাশের বাড়িতে দিতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। পরদিন ১৭ ডিসেম্বর বিকালে একই এলাকার একটি বাঁশঝাড় থেকে জয়নবের অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশের ধারণা, শিশুটিকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে সরাইল থানায় মামলা দায়ের করেন নিহত জয়নবের মা। ঘটনার তিনদিন পর অভিযুক্ত মূল ঘাতককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন সরাইল থানা পুলিশ।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক