দেশের শেষ প্রান্তের জেলা পঞ্চগড়ে কুয়াশায় আবৃত চারদিক। সেই সাথে শিশির মিশ্রিত ঠান্ডায় জুবুথুবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। এক ফালি রোদের জন্য অপেক্ষা করলেও সূর্যের দেখা মিলছে না সারাদিন। কুয়াশার চাদরে মোড়ানো রাস্তা ঘাটে পরিবহন চলাচলে ঘটছে বিঘ্নতা। হিমালয় থেকে নেমে আসা এই শীতের মাত্রা অত্যন্ত তীব্র।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.১ সেলসিয়াস। এমন শীত আরও কয়েকদিন চলমান থাকবে। হাড় কাঁপানো শীতের কারণে দরিদ্র মানুষেরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে। কাজে যেতে পারছে না তারা। বিশেষ করে ভয়ানক কষ্টে দিন পার করছে গ্রামীণ নারীরা। প্রকট শীতের মধ্যেও একখণ্ড কাপড় পড়েই সংসারের সব কাজ করছেন তারা।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, পঞ্চগড়ে দুই লাখ দরিদ্র শীতার্ত মানুষ রয়েছেন। এ পর্যন্ত এই জেলায় সরকারিভাবে মাত্র ২৮ হাজার কম্বল দেয়া হয়েছে। গড়ে ৭১৪০ জন মানুষের জন্য বরাদ্দ ১ মাত্র টি কম্বল।
সদর উপজেলার পুর্ব শিংপাড়া গ্রামের সাহাজাহান আলী জানান, এখনো কোনো শীতের কাপড় পাইনি।
একই কথা বললেন ওই এলাকার মোস্তফা আলী ভান্ডারী।
তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মকছেদ আলী জানান, শীতের কাপড়ের বরাদ্দ অনেক কম। আমি ৬ হাজার মানুষের জন্য পেয়েছি ৪০০ কম্বল। তাই সবার মন রক্ষা সম্ভব নয়। অতিদ্রুত শীতের কাপড় প্রয়োজন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার