বগুড়ার করতোয়া নদীর পাড় থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে জেলা শহরের রাজাবাজার এলাকা থেকে এই অভিযান শুরু করা হয়। বগুড়া জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড যৌথ ভাবে পরিচালিত এই অভিযানে ১৬টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। নদীর পশ্চিম পাশে গড়ে ওঠা বড়বড় ভবনও ভেঙ্গে উচ্ছেদ করা হয়।
বগুড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর আমির হামজা জানান, এই অভিযানে ১৬টি প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা চিহ্নিত করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। এর মধ্যে পাকা ৪ তলা ভবন ৩টি, আধাপাকা ৪টি, বাদবাকি টিনের চাল তুলে স্থাপনা গড়ে তোলে। সেগুলো সব ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এই অভিযান চলমান থাকবে।
বগুড়ার জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহামদ জানান, কয়েকজন অবৈধ দখলদার করতোয়া নদীর জমি অনিয়ম করে দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছে। শহরের রাজাবাজার থেকে উত্তরে ১৬ টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করার তাদের পত্র দিয়ে সরিয়ে নিতে বলা হয়। সরিয়ে না নেয়ায় পরে এলাকায় মাইকিং করা হয়। তারপরও সরে না নিলে উচ্ছেদ করা হয়। নদী অবৈধ দখল থেকে উদ্ধার ও নদীর শ্রোতধারা ফিরিয়ে আনতেই ভূমি মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড একযোগে সারাদেশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান রেখেছে। এ ছাড়া বছর ব্যাপী নদী রক্ষা কমিশনের অবৈধ দখল মুক্ত কাজ চলমান আছে।
অভিযান চলাকালে উপস্থিত ছিলেন বগুড়ার জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহামদ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল মারেক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান, সদর থানার পুলিশ কর্মকর্তাসহ জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার কর্মকর্তারা।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার