দেশব্যাপী একযোগে নদী দখল উচ্ছেদ অভিযান শুরু হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় নেত্রকোনাবাসীর বহুল প্রত্যাশিত মগড়া নদীর দখল উচ্ছেদও মঙ্গলবার শুরু হবে। দীর্ঘ প্রতিক্ষিত এই দখল উচ্ছেদ অভিযান উপলক্ষে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে সীমানা নির্ধারণ। তবে মগড়া নদীর নেত্রকোনার পৌর এলাকার প্রায় ৬ কিলোমিটার নদীর উভয় পারে ২২৭ জনের মতো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। কিন্তু তালিকায় ছিল ৩১৬ টি অবৈধ স্থাপনা।
পরিবেশপ্রেমী ও এলাকাবাসী বলছেন, সিএস মূলে বাদ দিয়ে বিআরএস মূলে দখল উচ্ছেদে ছিকঝাক অভিযান হচ্ছে। কেউ বাদ পড়ছে কেউ পড়ছে না। নদী গর্ভে কেউ মালিকানা কেউ দখল এটা কিভাবে সম্ভব? নদীর ভেতরে তো পুরোটাই নদীর জায়গা। এই বিষয়গুলোকে আরও বিচক্ষণতার সহিত দেখে নদীটিকে সত্যিকারের ভালোবাসলে তাও মগড়াকে দেখার মতো কিছুটা দেখা যাবে। তা না হলে শুধু নামকাওয়াস্তে প্রভাবশালীদের স্থাপনা বাদ দিয়ে লোক দেখানো উচ্ছেদই হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন ফরহাদ, সাইফুলসহ বেশ কয়েকজন।
এদিকে, নেত্রকোনা সদরের সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) বুলবুল আহমেদের নেতৃত্বে শনিবার থেকেই শহরের সাতপাই এলাকা থেকে এই নির্ধারণ এর কাজ শুরু হয়েছে। এসিল্যান্ড বুলবুল আহমেদ বলেন, আমরা বিগত দিনে সার্ভে করে মগড়া নদীর পৌরসভার ৫৪টি পয়েন্টের বিভিন্ন স্থানের মোট ৩১৬টি দখলীয় স্থাপনার তালিকা দিয়েছিলাম। এখন আমাদের কাছে ২২৭টি দখল স্থাপনার তালিকা এসেছে। আমরা সেগুলো মেপে নির্ধারণ করছি। এছাড়া অনেকগুলোতে আদালতে মামলা চলছে। যেগুলোর স্থগিতাদেশ রয়েছে সেগুলোতো আমরা ভাঙ্গতে পারি না।
তবে প্রভাবশালীরা অবৈধ দখল করে সিএস, বিআরএস কাগজ বানিয়ে ভোগদখল করছেন। এসব কাগজের মারপ্যাঁচে অনেকেই দখল উচ্ছেদ থেকেও রেহাই পেয়ে যাবেন বলে পরিবেশবাদীরা মনে করছেন। তারা বলছেন, নদীর ভেতরে আবার মালিকানা জায়গা হয় কি করে? সরকারের এসব ব্যাপারে আরও কঠোর হতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম