ঠাকুরগাঁওয়ে ৩য় শ্রেণির ছাত্রী সুমনা আক্তারকে হত্যার বিচার দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। সোমবার সুমনাকে স্মরণ এবং হত্যার প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও নিরবতা মিছিল করেছে ঠাকুরগাঁও সরকারী বালক ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় ঠাকুরগাঁও জেলা স্কুল বড়মাঠে অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ কর্মসূচি পালন করে তারা। এর আগে, গতকাল রবিবারও এ কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। সোমবার সন্ধ্যায় মোমবাতি হাতে একটি নিরবতা মিছিল নিয়ে শহরের চৌরাস্তা থেকে কালীবাড়ি হয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা স্কুল বড়মাঠে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে শিশু সুমনা আক্তারকে স্মরণ করে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।
এসময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শিশু সুমনা আক্তার হত্যার প্রতিবাদ করে গ্রেফতারকৃত ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র রিয়াজ আহম্মেদ কানন এবং এ ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন। এসময় সুমনার বাবা-মা এ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গত ৪ দিন ধরে ঠাকুরগাঁও জেলা ও বালিয়াডাঙ্গী, পীরগঞ্জ উপজেলায় সুমনা হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও দ্রুত শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এতে সমাজকর্মী, সংস্কৃতিকর্মী ও সংবাদকর্মীরাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেয়।
এদিকে, সুমনা হত্যার ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠায় ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন হত্যাকারী রিয়াজ আহম্মেদ কাননের বাবা ইয়াসিন হাবিব কনক, মা রুকসানা বেগম ও নানা অকছেদ আলী (৬০)।
উল্লেখ্য, গত ১৯ ডিসেম্বর রাতে জেলা শহরের গোয়ালপাড়া এলাকায় স্কুলছাত্র রিয়াজ আহম্মেদ কাননের বসতঘরের মাটি খুঁড়ে সুমনা হকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সুমনা হক গোয়ালপাড়া এলাকার জুয়েলের মেয়ে। সে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক