রংপুরে শীতের তীব্রতায় আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে বেগম নেছা নামের আরও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে চলতি শীতে আগুনে দগ্ধ হয়ে রমেক হাসপাতালে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৮-এ। এর মধ্যে পাঁচ নারী ও তিন শিশু রয়েছে।
রমেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড সার্জারি ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান এমএ হামিদ পলাশ জানান, তীব্র শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার পাঠানপাড়া গ্রামের গৃহবধূ বেগম নেছা দগ্ধ হয়েছিলেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। বেগম নেছার শরীরের বেশিরভাগ অংশ আগুনে পুড়ে গিয়েছিল বলেও জানান এই চিকিৎসক।
তিনি জানান, গত এগারো দিনে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ৩৩ জন দগ্ধ রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ৩ শিশুসহ ও ৫ নারী মারা গেছেন। এর আগে, গত মঙ্গলবার ৩১ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মহানগরীর পশারীপাড়া এলাকার রোকেয়া বেগম নামে আগুনে দগ্ধ এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়।
এর দুই দিন আগে ২৮ ডিসেম্বর রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার রোজিনা বেগম নামে এক নারীর মৃত্যু হয়। এর আগে, ২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার শিশু সাদিয়া ও আলম মিয়া নামে দু’জন মারা যায়। তাদের একজন গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ ও আরেকজন একই জেলার সাদুল্ল্যাপুরের বাসিন্দা।
এছাড়াও ২০ ডিসেম্বর রাতে ঠাকুরগাঁও জেলার ফাতেমা বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধা রমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া অপর দু’জনের বাড়ি লালমনিরহাটের পাটগ্রাম ও সদর উপজেলায়। বর্তমানে হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড সার্জারি বিভাগে এই শীতে দগ্ধ হয়ে ৩৩ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক