বগুড়ার শহীদ মিনারে জুতা পায়ে উঠে স্লোগান দিতে নিষেধ করায় পুলিশকে মারপিটের ঘটনায় ৫৭৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে থানায়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সদর থানা পুলিশ ২৯ ছাত্রদল নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশের ওপর হামলার পর থেকে জেলা ছাত্রদলের অনেক নেতাকর্মীই এখন গা ঢাকা দিয়েছে। অনেকেই গ্রেফতার এড়াতে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে।
এর আগে, বুধবার রাতে বগুড়া সদর ফাঁড়ির সাব ইন্সপেক্টর জিলালুর রহমান বাদী হয়ে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবু হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যানকে আসামি করে ৭৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫শ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় অন্য আসামিরা হলেন, জেলা জেলা যুবদলের আহবায়ক খাদেমুল ইসলাম খাদেম, যুগ্ম আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক এবিএম মাজেদুর রহমান জুয়েল, যুগ্ম আহবায়ক সরকার মুকুলসহ এই তিন সংগঠনের জেলা, শহর ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। দায়ের করা মামলায় পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা, রক্তাক্ত করা এবং সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ করা হয়।
বুধবার বগুড়ায় ছাত্রদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের জন্য জেলা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমবেত হতে থাকে দলের নেতাকর্মীরা। এসময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারে জুতা পায়ে উঠে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে পুলিশ সেখানে বাধা দেয়। বাধা দেয়ায় পুলিশ সদস্যদের ওপরে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা হামলা করে ৫ পুলিশ সদস্যকে আহত করে।
বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম বদিউজ্জামান জানান, বুধবার দুপুরে ছাত্রদলের হামলায় বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তীসহ ৫ জন আহত হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের এবং অভিযানে ২৯ জনকে গ্রেফতার
করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন