আবেদন করার পর আর ২০ দিন অপেক্ষা করতে হবে না। এখন আরও দ্রুত পাওয়া যাবে তথ্য অধিকার আইনে চাওয়া তথ্য। শুধু তাই নয়, অনলাইনেই তথ্য চাওয়ার আবেদন এবং ট্রাকিং করা যাবে। চাইলে ৩৩৩ কল সেন্টারের মাধ্যমেও তথ্যের জন্য আবেদন করা যাবে।
অনলাইনে আবেদন আর ট্রাকিং করার প্রক্রিয়াকে পাইলট প্রকল্প হিসাবে গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ তথ্য কমিশন। আর পাইলট প্রকল্প এলাকা হিসাবে বেছে নেয়া হয়েছে সিলেট বিভাগকে। সিলেট বিভাগে হবিগঞ্জ জেলা থেকেই শুরু হয়েছে এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা।
আজ রবিবার হবিগঞ্জ শহরের পৌর টাউন হলে এক অবহিতকরণ কর্মশালায় এই ঘোষনা প্রদান করেন বাংলাদেশ তথ্য কমিশনের প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমেদ। হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসন, সিলেটের বিভাগীয় প্রশাসন ও বাংলাদেশ তথ্য কমিশন যৌথভাবে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ ও আরটিআই অনলাইন ট্র্যাকিং সিস্টেম বিষয়ক সর্বসাধারণের অবহিতকরণ করতে এ কর্মশালাার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় জানানো হয়, জনগন যাতে আরও দ্রুত ও সহজভাবে তথ্য পেতে পারে তার জন্য এই অনলাইন ট্র্যাকিং সিস্টেম চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সরকারের এ টু আই প্রকল্পের সাথে তথ্য কমিশন মেমোরেন্ডাব অব আন্ডারস্টেন্ড সই করে। এতে করে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে যারা অনলাইনে অভ্যস্থ নন তারা তথ্যের জন্য আবেদন করতে পারেন এবং ট্র্যাকিং করতে পারবেন। যে কেউ ব্যক্তিগতভাবেই অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন ও আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার পর একটি ট্র্যাকিং নাম্বার আসবে। এই নাম্বার দিয়ে আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানা যাবে। যে কেউ চাইলে ৩৩৩ কল সেন্টারে ৬০ পয়সা মিনিটে কল দিয়েও তথ্যের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান, তথ্য কমিশনের পরিচালক প্রশাসন জে আর শাহরিয়ার, উপ-পরিচালক এ কে এম তারিকুল ইসলাম, হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলুল হক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এডভোকেট মো. আলমগীর চৌধুরী।
কর্মশালায় বিভিন্ন ডকুমেন্টারী প্রদর্শন এবং অংশগ্রহণকারীদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। একই সাথে অন লাইনে সকলের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা হয়। কর্মশালায় সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি ও ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাসহ ১৬০জন অংশগ্রহণ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ